سیاه چ হরিকখামৃত পান কর মহাভাগ । পদে পদে নব নব বাঢ়ে অকুরাগ ॥ ব্ৰহ্মার আননে যে কহিল স্বরেশ্বরে । সেই ভাগবত আমি কহি সবিস্তারে ॥ অনস্ত ধরণীধর সহস্ৰ বস্নান । সনকাদি চারি মুনি গেল! তার স্থান ॥ যেরূপে র্তাহার স্তুতি কৈলা আরাধন । যেরূপে ধরণিধর হৈলা পরসন্ন । সনক সনন্দ আর মুনি সনাতন । সনৎকুমার চারি ব্ৰহ্মার নন্দন ॥ ধরিণিধরের স্থানে পাইলা উপদেশ । মৈত্রেয় কহিলা সেই করিয়া বিশেষ ॥ প্রলয় সময়ে বিশ্ব করিয়া উদরে । অনন্ত-শয়নে ছিল প্ৰভু বিশ্বস্তরে ॥ র্তার নাভিকমলে ব্ৰহ্মার উতপতি । চিরকাল ধ্যান করি রহে প্রজাপতি ॥ কত বড় নাভিপদ্ম কি তার আধার। ব্ৰহ্মা হয়্যা লা পারিলা তত্ত্ব জানিবার } পদ্মনাল-বিবরে করিয়া পরবেশ । কোথা হৈতে হৈল পদ্ম না পাইল উদ্দেশ । চিরকাল ভ্ৰমিএ উঠিল আর বার। এইরূপে ভ্ৰমিতে রহিলা চিরকাল ॥ চির পরিশ্রমে ব্ৰহ্ম হৈলা অবসন্ন । তবে হরি সাক্ষাতে দিলেন দরশন ॥ অনস্ত শয়নে হরি দিব্যরূপ ধরে । নানা স্ততি কৈলা ব্ৰহ্মা প্রণত বন্ধরে। প্রসন্ন হইয়া প্রভু পুরুষ পুরাণ । ব্ৰহ্মাকে কহিলা ভাগবত-তত্ত্বজ্ঞান । বিশ্ব স্বজসেন ব্রহ্মা পাঞ উপদেশ । কহিল মৈত্রেয় মুনি করিয়া বিশেষ । ৰত যত পুছিল বিদুর মহাশয় । সকল কহিলা মুনি প্রসন্নহৃদয় ॥ যতেক মানস স্বষ্টি কৈলা পিতামহে। তবে আর যতেক স্বজিলা নিজদেহে ॥ সনকাদি চারিমুনি মানস কুমার। রুদ্র স্বষ্টি কৈলা ব্ৰহ্ম হয় অবতার ॥ মনে উপজিল মুনি মরীচি তনয় । নয়নে জন্মিল অত্রি মুনি মহাশয় ॥ জন্মিলা অঙ্গিরা মুনি ব্ৰহ্মার বদনে । জন্মিলা পুলস্ত্য মুনি ব্রহ্মার শ্রবণে ॥ জন্মিলা পুলহ মুনি লাতির বিবরে । জন্তু মুনি জন্মিল৷ ব্ৰহ্মার দুই করে। শ্ৰীমদ্ভাগবত চৰ্ম্মে উপজিল ভূণ্ড মুনির প্রধান। প্রাণ হৈতে বশিষ্ঠ জন্মিলা মতিমান । দক্ষিণ অঙ্গুলি হৈতে দক্ষের জনম । বক্ষঃস্থলে জন্মিলা নারদ তপোধন ॥ স্তনে হৈতে জনমিলা ধৰ্ম্ম অবতার। পৃষ্ঠে উপজিলা মুতু্য অধৰ্ম্ম আচার ॥ হৃদয়ে জন্মিলা কাম ক্রোধ ভুরুষুগে । অধরে জন্মিলা লোত বাণী হৈলা মুখে ॥ ছায়া হৈতে জন্মিলা কর্দম মুনিৰর । চারিমুখে চরিবেদ স্বজে মুলিবর ॥ অর্থ শাস্ত্র যজ্ঞ হোম বিবিধ প্রচার । আয়ুৰ্ব্বেদ ধমুৰ্ব্বেদ শিল্প ব্যবহার ॥ স্বায়ম্ভব মন্ত্র যার শতরূপা নারী । জুই মূৰ্ত্তি ধরে আর ব্রহ্মা অধিকারী ॥ করিয়া দম্পতিভাব তারা দুইজনে । বাঢ়াইল অপত্য স্বষ্টি ব্রহ্মার বচনে ॥ জ্যেষ্ঠ পুত্র হৈল তার প্রিয় ব্রত নাম । দ্বিতীয় উত্তানপাদ পুত্রের প্রধান ॥ তিন কন্যা হৈলা তার আকুতি প্রস্থতি । দেবহুতি নাম আর কষ্ঠ মহাসতী । জনমিঞা জিজ্ঞাসিলা ব্ৰহ্মার চরণে । কি সেবা করিব মুঞি তোমার এখনে । বিরিঞ্চি দিলেন আজ্ঞা ভজ নারায়ণ । শতরূপা লঞা কর অপত্য স্বজন ॥ ধরণী শাসিয়া কর এ লোক পালন । এই সে আমার সেবা গুরু আরাধন ॥ স্বায়ম্ভব মহ নিবেদিল আরবার। কোথাতে রহিব লোক নাহিক আধার। পাতালে মজিয়া রৈল ধরণীমণ্ডল । কোথাতে রহিব আমি এ লোক সকল । এ বোল শুনিএ ব্ৰহ্মা চিস্তিল আপলে । না কহিল পুত্র মোর অসত্য বচনে ॥ আপনে রহিলু আমি স্বজিতে সংসার। পাতালে মজিল পৃথী এ লোক আধার। কিরূপে এখন তবে উঠয়ে ধরণী । প্রকার না দেখি আন বিনে চক্রপাণি ॥ এইরূপে চিস্তিতে রহিলা প্রজাপতি । হেনকালে জলমিলা বরাহ মুরতি । ব্ৰহ্মার নাসিকারন্ধে হৈলা উপাদান । শূকর বালক হৈলা গজ পরমাণ ॥ মহানাদ কৈলা রহি আকাশমণ্ডলে । তিলেকে গগন যুড়ি ধরে কলেবরে।
