পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/৩৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e&துை লক্ষ্মীদেবী যায় নিজ পতি দরশনে। এই চিত্তে লাগিল গোকুলবাসিজনে ॥ গোপ গোপী এইরূপ চিত্তিতে লাগিলা। পূতনা প্রবেশ গিয়া নন্দঘরে কৈলা । নিজ তেজ সম্বরিয়া আছয়ে শয়নে। মুদিত নয়ন যেন কিছুই না জালে । আচ্ছাদিয়া আছে প্রভু নিজ তেজবল । আওনি থাকয়ে বেন তন্মের ভিতর ॥ অন্তৰ্যায়ী প্রভূ সে সভার তত্ত্ব জানে । কিবা অগোচর অাছে তার বিদ্যমানে ॥ পূতন রাক্ষসী সে ৰে বালকঘাতিনী। জানেন তাহার তত্ত্ব প্রভু চক্রপাণি ॥ মনে আছে পুতনারে করিব সংহার। নহে প্ৰভু শিশুতাব করিয়| ৰিভার ॥ এত বিবরণ নাহি জানে নিশাচরী । ৰালক তুলিয়া গিয়া লৈল কোলে করি । না জানিয়া কেহো যেন কালসৰ্প ধরে । কালান্তক যম যেন তুলি লৈল কোলে । তার রূপ তেজ দেখি অতি মনোহর । কুৎসিত বদন তার বচন সুন্দর। যশোদা রোহিণী কিছু না পারে বলিতে । চিত্রের পুত্তলি যেন লাগিল চাহিতে ॥ কোন কৰ্ম্ম কৰব তবে পুতনা পাপিনী । শিশুমুখে বিষন্তন দিল দোচারিণী ॥ দুই করে স্তন ধরি প্রভু ভগবান । চুম্বক ধরিয়া তবে দিল এক টান। প্রাণ সহে স্তন তার পিলেন ইহুরি । ছাড় ছাড় বলিয়া পড়িল নিশাচরী ॥ দুই ভাখি উলটিল আছড়িল পাম । আৰ্ত্তনাদ করিয়া ছাড়িল ঘন রায় ॥ পড়িল পুতনা তার শবদ উঠিল। নদ নদী গিরি তরু ধরণী কম্পিল ॥ গ্ৰহগণ সহে কাপে গগনমণ্ডল । দশদিগ পাতাল ৰাপিল জলস্থল । ৰাজপাত হেন লোকে ছৈল চমৎকার । ভূমিতে পড়িল লোক দেখি অন্ধকার। ছেনরূপে পড়িল পূতনা নিশাচরী। প্রাণ ছাড়ি গেল তবে নিজরূপ ধরি ॥ দ্বাদশ দণ্ডের পথ পৃথিবী যুড়িয়া । পূতনার কলেবর রহিল পড়িয়া ॥ পৰ্ব্বতের গুহা যেন লালিকাবিবর । দুই গোটা স্তন তার পর্বতশিখর। খ্ৰীমন্তাগৰত লাঙ্গলের ঈষ যেন বিকট দশন । অন্ধকূপ যেন দুই গভীর নয়ন ॥ শূন্তজল হ্রদ যেন উদর গভীর। মহা মহীধর যেন উচল শরীর ॥ নদীতট যেন তার জঘন ৰিস্তার। হাত পায় দেখি হেন দীঘল জাঙ্গাল ॥ গোপগোপী দেখিয়া পুতনাকলেবর । ৰাপিয়া উঠিল অঙ্গ তরালে সকল। খেলায় বালক তার বুকের উপরে। ধাঞা গিয়া গোপীগণ আনিল সম্বরে। যশোদা রোহিণী আর গোপীগণ মেলি । রক্ষা ৰান্ধে বালকের শিরে হাত ধরি ॥ গোপুচ্ছ ভ্রমণধ লৈয়া অঙ্গের উপরে । গোমুত্রে করায় স্নান বালকের শিরে। গোধূলি গোময়ে তার করায় মজ্জন । দ্বাদশ আজের রক্ষা করে গোপীগণ । করপদ পাখালিয়া আচমন করি । রক্ষণ বান্ধে গোপীগণ নানা মন্ত্ৰ পঢ়ি ॥ অজ নারায়ণ রক্ষা করুক চরণ । মণিমান জামুদ্বয় করুন রক্ষণ ॥ কটিতট অচ্যুত জঠর হয়গ্ৰীবে। যজ্ঞরূপী উরুদ্বয় হৃদয় কেশৰে ॥ ঈশ বক্ষে স্বৰ্য্য কণ্ঠে বিষ্ণু ভুজযুগে । রক্ষা করু উরুক্রম তোমার প্রমুখে ॥ ঈশ্বরে রক্ষুক শিরে আগে চক্ৰধর । দুই পাশে খড়গ ধনু আগে গদাধর। কোণে শঙ্খ অধে তাক্ষ রক্ষুক তোমার। উপেন্দ্র রক্ষুক উৰ্দ্ধে তোমা সৰ্ব্বকাল ॥ হলধর সর্বদিকৃ করুন রক্ষণ । হৃষীকেশ ইন্দ্রিম্ব লে প্রাণ নারায়ণ ॥ শ্বেতদ্বীপপতি চিত্ত মন যোগেশ্বর । পৃশ্নিগর্ভ বুদ্ধি রক্ষা করু নিরস্তর। ক্রীড়াকালে গোবিন্দ রক্ষুক অমুক্ষণ । শয়নে মাধব দেব আত্মা ভগবান। ৰসিতে শ্ৰীপতি দেব বৈকুণ্ঠ গমনে । সৰ্ব্বযজপতি রক্ষা করুন ভোজনে ॥ ভূত প্ৰেত আদি যত ডাকিনী যোগিনী । কোটরা পূতনা আদি বালকঘাতিনী। যক্ষ রক্ষ বিনায়ক দুষ্ট গ্ৰহগণ । বৃদ্ধগ্রহ বালগ্রহ লোকসস্তাপন ॥ বিষ্ণু স্মঙরণে স্বাকু এ সব বিনাশ । সৰ্ব্বত্র রক্ষক দেব জগৎনিবাল ॥