পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/৩৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঐকুক-প্রেমতরঙ্গিণী Úvod ঔপ্রলয় সাগর জলে নাভিকমলের নালে चछ इब्रr छनय चांगांग्न ॥ নারায়ণ-পুত্র জানি হেন আছে বেদবাণী এত মিথ্যা নহে কোনকালে। নারায়ণ সুরপতি আমি শিশু গোপজাতি যদি বল কহিব তোমারে ॥ তুমি নারায়ণ নাম অন্তৰ্য্যামী ভগবান তুমি সৰ জীবের আশ্রয় । তুমি প্ৰভু প্রবর্তক সৰ্ব্বজীব নিয়োজক লোকসাক্ষী তুমি সৰ্ব্বময় ॥ এইরূপ নিবেদন করিয়া চতুরানন স্বপ্রসন্ন কৈলা চক্রপাণি । ৰন্ধাভতি পরবন্ধ প্রেমরস মুখানন্দ ভাগবত অt১াৰ্য্যের ৰাণী ৷ ধানসী রাগ । লেহু নারায়ণ এক মূরতি তোমার । প্ৰলয়সাগর-জলে কৈলে অবতার ॥ সেই সত্য হয়ে নহে ন জানিল তত্ত্ব । তোমার মায়ায় মোর ভ্রম হৈল চিত্ত ॥ পুনঃ পুনঃ দেখি পুনঃ নহে পরকাশ । অকুমানে বুঝি সব মায়ার বিচাস ॥ জগত-আশ্রয় নারায়ণ কলেবর । যদি সত্য স্থিত তার জলের উপর । শতেক বৎসর মূঞ কমঙ্গের নালে । প্রবেশ করিয়া ছিলু উদর ভিতরে ॥ শতেক বৎসর যদি ভ্ৰমিলু উদরে । অস্ত না দেখিয়া তার আইল বাহিরে। সেই নারায়ণৰূপ না দেখিয়া আর । এতেক জানিলু নাথ মায়ায়ে তোমার। (১) তোমার রূপের প্রভু নাহি পরিচ্ছেদ । মায়ায় দেখাও তুমি নানা মুদ্ভিভেদ ॥ এই অবতারে তুমি জননীর তরে । বিশ্ব দেখাইলে তুমি উদর ভিতরে। যেরূপে বাহির কর জগৎ বিলাস । উদর তিতরে সেই রূপ পরকাশ । এই মায়া বিনে নাথ কভু নহে আন। এখনে দেখাইলে মোরে মায়া বিদ্যমান। প্রথমে আছিলে এক লদের নন্দন । পাছে তুমি হৈলে ষত বৎস শিশুগণ । ( ১ ) পাঠাস্তর,— "এবে সে জানিমু নাখ মহিমা তোমার।" তবে সেই বৎস শিশু চতুভূজরূপে। পাছে দেখা দিলে নাথ অনন্ত স্বরূপে ॥ মুঞি আদি করি তৃণ স্তম্ভ ষে পৰ্য্যন্ত । স্তুতি ভক্তি সেবা করো হয়্যা মুক্তিমত্ত । পাছে এক ব্ৰহ্ম তুমি অমিয়া বিহার। এ সব তোমার মায়া বড় চমৎকার । অদ্বৈত পরমব্রহ্ম তুমি নিরঞ্জন। তোমা বিলে আর যত মায়া নিরঞ্জন ॥ তুমি আত্মা আপনে অনন্ত মুক্তি ধর। মায়া বিস্তারিয়া নাথ নানা মায়া কর । তোমার মহিমা কে ন জানে কোন কালে । মায়া করি তারে তুমি ভাও নানা ছলে । স্বষ্টি-কাজে আমি যেন ব্ৰহ্মা মুরেশ্বর। জগত-বিধান তুমি বিষ্ণুকলেবর। সংহার কারণ যেন ত্রিনয়নৰূপ । ভিন্ন ভিন্ন নহে কেহ তোমারি স্বরূপ। মুর নর ঋষি পশু মৃগ জলচরে। নানা মূৰ্ত্তিধর তুমি নানা অবতারে। সাধু-পরিত্রাণ হেতু খল নিবারণ। অবতার করি কর জগৎ পালন ॥ পরিপূর্ণ ভগবান মহা যোগেশ্বর । পরমাত্মা প্ৰভু তুমি লীলা কলেবর ॥ কে বুঝে তোমার লীলা ত্রিভুবন-মাঝে । কিরূপে কেমন লীল কর কোন কাজে ॥ এতেক জাহিলু নাথ জগৎ অসত্য । বিচারিলে তিল মাত্র কিছু নহে তথ্য । স্বপন সমান মহাদুঃখ দুঃখময় । প্রকাশ বঙ্কিত ঘন তিমিরসঞ্চয় ॥ তুমি নিত্য মুখবোধ অনন্ত বিলাস । তোমার প্রকাশে করে জগৎ প্রকাশ । তোমাতে জগৎ আছে তোমাতে জনম । সত্য হেন জগৎ দেখিয়ে তে-কাৱণ ॥ তুমি এক আত্মা সত্য পুরুষ পুরাণ। স্বপ্রকাশ নিরঞ্জন পূর্ণ ভগবান ॥ নিত্য নিত্যমুখ হেতু দ্বিতীয়-রহিত । অনন্ত অক্ষয় আদ্য উপাধি-বর্জিত। গুরু স্বৰ্য্য দরশন জ্ঞান বিলোচনে । এরূপ তোমার তত্ত্ব দেখয়ে যে - নে ॥ আত্মা ভেদ বুদ্ধি যার চিত্তে নাহি ধরে। অসত্য সংসারসিন্ধু সেই প্রায় তরে। কেবল আপন করি আত্মা লভে জানে। আর সব অসত্য কেবল আত্মা বিনে ॥