পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/৩৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శ్రీమ్స్లో কোনকালে মৎস্যপতি দেখি খগরাজে । খেদিয়া আনিল তারে যমুনার মাঝে ॥ ক্ষুধায়ে ধরিয়া মৎস্ত খাইব খগেশ্বর । আছিল শেভরি মুনি জলের ভিতর ॥ মুনি লিবারিল তারে নিষেধ বচনে । আমার সাক্ষাতে মৎস্ত না করে ভক্ষণে ॥ তবু মৎস্ত ধরিয়া খাইল খগরা ে। মৎস্যগণ বিলাপ করয়ে জলমাঝে ॥ মীনগণ ক্রনদন দেখিয়া যোগেশ্বব । কৃপা করি দিলা শাপ সহস্ৰ বৎসর যদি আর এই : লে পরবেশ করি । গরুড়ে আসিয়া মৎস্য খায় কভু ধরি ॥ প্রাণ ছাড়ি সেইক্ষণে মারিবে সৰ্ব্বথা। আমার বচন কভু না হব অন্তথা ॥ এ সকল তত্ত্ব কথা কালীনাগ জানে । তথা গিয়া কৈল বাস সেই সে কারণে ॥ পুনরপি কৃষ্ণ দূর কৈল তথা হলে । আর কথা কহি রাজা শুন সাবধানে ॥ কালিনীর হ্রদে হৈতে উঠিলা শ্ৰীহরি । দিব্য গন্ধ চন্দন কুসুম মালা ধরি ॥ মহামণিগণ জাম্বুনদ বিরাজিত । মূকট কুণ্ডল হার অঙ্গ বিভূষিত । সকল গোকুলবাসী উঠিল সত্বরে । মরা বাচি উঠে যেন জীবন সঞ্চারে । আনন্দে পূরিয়া গোপ দিল আলিঙ্গন। শিরে হস্ত দিয়া কৈল বদন চুম্বন ॥ যশোদা রোহিণী নন্দ গোপ গোপীগণে । সচেতন হৈল সতে কৃষ্ণ দরশনে ॥ কৃষ্ণের মহিমা জানে প্রভু বলরাম | আলিঙ্গন করিয়া হাসিলা মতিমান ॥ কৃষ্ণ কোলে করিয়া বসিলা মহাশয় । প্রেমরসে পুলকিত আনন্দ হৃদয় ॥ ধেনু বৃষ মৎস্যগণ হৈল আনন্দিত। সকল গোকুলবাসী প্রমোদে মুদিত । जैौयडांभंबळ সকল এ গুরু পুরোহিত দ্বিজগণে । আসিয়া নন্দেরে তবে কৈলা সম্ভাষণে ॥ ভাগ্যে নন্দ পুত্র বাচি উঠিল তোমার। দংশিল পাপিষ্ঠ নাগ বড় দুরাচীর । ভাগ্যে শিশু জীল দ্বিজ-গুরু-আশীৰ্ব্বাদে । কেবল তোমার পূণ্য দেবের প্রসাদে ॥ এইরূপে গোবিন্দে লভিয়া গোপগণে । সৰ্ব্বদুঃখ পাসরিল আনন্দিত মনে ॥ সে রাত্রি রহিল সেই যমুনায় তীরে । ক্ষুধায়ে তৃষ্ণীয়ে কেহ চলিতে না পারে। শুচিবন নামে বন তথাই আছিল। উপবাস করি গোপ তথাই রহিল । ঘোরতর দাবাগ্নি উঠিল নিশাকালে । চৌদিগে বেঢ়য়ে বম পুড়িবার তরে। দাবানলে পুড়ে অদ চৌদিকে বেঢ়িয়া । উঠিল গোকুলবাগী সমুমে দেখিয়া । শরণ পশিল সতে কষ্ণের চরণে । কৃষ্ণ কৃষ্ণ মহাভাগ কর পরিত্রাণে । অমিত বিক্রম রাম করুণাসাগর । দাবানল চৌদিগে বেঢ়িল ঘোরতর ॥ আমি-সৰ নিজজন সেবক তোমার । কাল দাবানল হৈতে রাখ একবার । আ গুলে পুড়িএ তাহে নাহি বালি ভর । ছাড়িতে না পারি তোমার চরণ-কমল ৷ নিজজন বিকল দেখিয়া দয়াময়। অনন্ত শকতি ধরে সর্ব জীবালয় ॥ অগ্নি পাল কৈলা কৃষ্ণ আখির নিমিষে। সেই বনে গোপগণ রহিল সন্তোষে ॥; রজনী প্রভাতে গোপ গেল ব্ৰজপুরে।” হেন অদভূত রাজা কহিলু তোমারে। ভাগবত-আচার্ষ্যের সরস বচনে । মুখে যেন ভাগবত বুঝে সৰ্ব্বজনে ॥ ইতি প্রভাগবতে মহাপুরাণে পরমহংল্যাং সংহিতায়াং বৈয়াসিক্যাং দশমম্বন্ধে সপ্তদশোইখ্যায়: ॥ ১৭ ৷