পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/৪২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চাত্রে শ্ৰী জণ্ডTTয় / ভাটীয়ালি রাগ । বনে বনে বনমালী গোধন চরায় । নানা দুঃখে গোপগণ দিবস - ঙtয় ॥ সৰ্ব্বগোপী এক ? মিলিয়া দিনে দিনে । কৃষ্ণগুণ গাঞা গোপী রাখয়ে জীবনে ॥ ৰাম বাহু ধরি বাম কপোলমণ্ডলে। ললিত চলিত ভুরু মুকুলী অধরে। বেণুরন্ধে, বিলোলিত কামল অঙ্গুলী । যখনে বাজায় বেণু শ্রীবনমালী। সিদ্ধ বধুগণ তার সঙ্গে সিদ্ধগণ । মুরুছিয়া পড়ে রথে হয়্যা অচেতন । বিগলিত নীধিবদ্ধ কামে বিমোহিতা । লাজে তয়ে বেয়াকুল সিদ্ধের বনিতা ॥ গুন শুন গোপী আর কহি অদভূত । করয়ে মোহন লীলা ওহি নন্দসুত ॥ অচল তড়িতকুল্য উরে হার হাসে। অারত-জনার দুঃখ কটাক্ষে বিনাশে ॥ যখন বাজায় বেণু রহি বু৮fবনে । যুখে যুখে মৃগ বৃষ মিলয়ে গোধনে ॥ শ্রবণ তুলিয়া দন্তে তৃণ ধরি রহে। চিত্রের পুত্তলী যেন প্রভু-মুখ চাহে। নবদল ময়ূরচঞ্জিকা চার বেশ । বিচিত্র পল্লবে রুি ধরে মল্লবেশ ॥ যখনে মুকুন্দ বেণু বাজায় মধুর। তখনে সকল নদী গতি হয় দূর । ছরিয়া চরণরেণু আনিব পবনে । এই মনে করিয়া থাকল্পে নদীগণে ॥ শিশুগণে নিজগুণ গায়ে চারি পাশে । বনে বনে বিহার করয়ে নট বেশে । নাম ধরি যবে ধেস্থ ডাকে বেণুলানে । তখনে প্রাণীর ধৰ্ম্ম হয় তরুগণে ॥ সৰ্ব্বভুতে বৈসে হরি প্রভু দয়াময়। লতাবলী প্রকট করিল অতিশয় ॥ প্রেমভাবে পুলকিত মধুধারা বহে । ভকতঙ্গক্ষণ ধরি তরু লতা রহে ॥ দিব্যগন্তু তুলসী ললিত বনমালে । অলিকুলে বেণু রব করে অন্থকারে ॥ ( ১ ) (s) “অলিকুল“জমুকুলে –পাঠান্তর। মোহন-তিলক বেণু পুরয়ে সন্ধানে। হংস সারস আসি মিলয়ে তখনে ॥ জলচর বেণুনাদে হয়্যা বিমোহিতে । সরোবর তেজিয়া দাণ্ডীয় চারিভিতে ॥ মুদিত নয়ণে করে চিত্ত সমাধান। নিশবদে রহে কৃষ্ণে করিয়া ধেয়ান । শুন ব্ৰজবধু আর বিচিত্র কথনে । রাম কৃষ্ণ রহে গিরি-তট-উপবনে ॥ বেণুঞ্জবে জগৎ করযে হরষিত । তখনে মেঘের গতি মন্দ গরজিত । ঈশ্বর লঙ্ঘন জানি হয় কোন মতে । মন্দ মন্দ গমন গরজে সাবহিতে ॥ ছায়া করি ছত্র ধরে পুষ্প বরিষণ । হেন সে মেঘের ধৰ্ম্ম দেখিল তখন ॥ শুন হে যশোদা তুমি পুণ্যবতী নারী। তোমার পুত্রের কথা কহিতে ন পারি ॥ বিদগধlশরোমণি গুণের সাগর । কত ভাতি জানে সে যে রসিক নাগর। বিবিধ বিনোদ বেণু বাজায় রসাল। তখনে দেখিল সখি বড় চমৎকার ॥ ব্ৰহ্মা ভব পুরুন্দর আদি মুরগণে । আসিধা করয়ে স্তুতি বিবিধ বিধানে ॥ কল্প যোগ প্ৰপতকদ্ধর তত্ত্ব চিত্ত । তত্ত্ব না জানিএা দেব হয় বিমোহিত। ধ্বজ বজ্র বিরাজিত চরণকমলে। যখন বেড়ায় কৃষ্ণ গোকুলমগুলে। তখন দেখিয়ে তার রূপ মনোহর । আমি সব তখনে লা জানি নিজপর ॥ বসন ভূষণ কেশ এ-লব পালরি। কেবল থাকিয়ে যেন বৃক্ষ ভাব ধরি। নবদল তুলসী ললিত বেশ ধরি । মণি ধরি গোধন গণয়ে বনমালী ॥ অনুচর বালকের কান্ধে বাম হাথ । যখনে মোহন বেণু বাজায় গোপীনাথ ॥ বেণুরবে বিমোহিতা বনের হরিণী । পতি স্বত ছাড়িয়া লেবয়ে যদুমণি ॥