পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/৪৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অসন্তুষ্ট হৈলে নহে ইজপদে মুখ । তুষ্ট হৈলে দরিদ্রের নহে কোন দুখ। নিজ লাভে তুষ্ট সৰ্ব্বভূতহিতোত্তম। অহঙ্কারবিবর্জিত ব্ৰাহ্মণসত্তম ॥ নিরন্তর থাকে আমি করি নমস্কার । কহ বিপ্র রাজাগত কুশল তোমার। যে রাজা স্বধৰ্ম্মে করে প্রজার পালন । সেই লে আমার প্রিয় কহিলু ব্রাহ্মণ । কোন কাৰ্য্যে আইলে দুর্গ করিয়া লঙ্ঘন । গুহ যদি নহে তার কহিবে কারণ ॥ আজ্ঞা কর কোন কাৰ্য্য করিব তোমার। তবে বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ লাগিল কহিবার ॥ হের-দেথ কুক্মিণীর পটি পত্ৰখান। শুন দেব-দেব কিছু কর অবধান ॥ বলি রুক্মিণীর পত্র প6য়ে ব্রাহ্মণ । শ্ৰীকৃষ্ণ রুক্মিণীর পত্র করয়ে শ্রবণ। ভুবন-মুন্দর পদ্মপত্র-বিলোচন । সতত তোমার গুণ কহে সৰ্ব্বজন। সৰ্ব্বতাপ হরে যায় কেবল শ্রবণে । হেন গুণ নিতি-নিতি শুনি নিজ কাণে ॥ শুনিএা রূপের কথা নিরুপমৰামে । আঁখির অখিল-লাভ হয়ে দরশনে ॥ তোমাতে অচ্যুত চিত্ত কৈল পরবেশ । গজা পরিহরি ধৈর্য্য ছাড়িল বিশেষ ॥ তিরি ছৈয়া কেন তুমি লঙ্ক । পরিহর । হেন যদি বল নাথ অবধান কর। হেন কোন নারী আছে কুল-শীলৰতী। সকল-লাবণ্যধাম তুমি হেন পতি ॥ না বরিব তোমারে রাখিয়া নিজ মন । হেন নারী নাহি নরসিংহ ভগবান । মুঞি তোমা বরিশু অখিল-লোকপাল। আত্মা সমর্পণ কৈলু চরণে তোমার। বুবিয়া করিবে নাথ যে হয় উচিত । আপনে সকল জ্ঞান পরম পণ্ডিত । পুরুষসিংহের ভাগ মুঞি এক নারী । শিশুপাল জানি মোরে লম্ন্যা যায় হরি ॥ জম্বুকে সিংহের ভাগ যেন লয়্যা যায় । বুঝিয়া করহ নাথ ইহার উপায়। যত পুণ্য কৈলু নাখ জন্ম-জন্মাত্তরে দান ব্ৰত তপ যজ্ঞ বিবিধ প্রকারে । ঐকৃষ্ণ-প্ৰেমতরঙ্গিণী ፀፃp দেব-গুরু আরাধন ব্রাহ্মণসেবন । চরণারবিন্দে সব কৈলু সমৰ্পণ ॥ যদি আরাধিয়া থাকো চরণ তোমার । আপনে আসিয়া লাথ লবে একবার ॥ তুমি পাণিগ্রহণ করিবে দয়াময় । দুষ্ট সৃপগণ যেন সান্নিধ্য না হয় ৷ কালি মোর বিবাহের আছে সমাগম । শীঘ্ৰ তুমি আইল সৈন্ত করিয়া সাজন। গোপতে আসিবে তুমি দেখিবার ছলে । বিপক্ষ সকলে ধেন নারে লখিবারে । শিশুপাল জরাসন্ধ বল বিচারিয়া । আঁখির নিমিষে মোরে লইবে হরিয়। ( ১ ) রাক্ষস বিবাহে মোরে কর পরিণয় । বীৰ্য্য দেখাইয়া মোরে হর দয়াময়। (২) যদি বল কন্সা তুমি থাক অস্তঃপুরে। বন্ধুগণ না মারিব হরিব তোমারে ॥ কিরূপে এ সব কাৰ্য্যের হইব ঘটনা । তাহাতে আছয়ে নাথ উত্তম মন্ত্রণ ॥ কুলদেব-যাত্রা আছে বিভার পূর্বদিলে। পুরের বাহিরে হয় কম্ভার গমনে ॥ দুর্গাদেবী আরাধন কুলের বিধান । নববধু যায় তাথে দুর্গা-সন্নিধান ॥ তখনে হরিয়া তুমি নিহ অলক্ষিতে। সকল গোচর নাথ তোমার সাক্ষাতে ৷ যার পাদপদ্ম-বুজ মহা মহাজনে । বাঞ্ছয়ে পাৰ্ব্বতী-পতি আদি যোগিগণে ॥ হেন প্ৰভু চরণ-পরশ-আশা তেজে । সে কেন উত্তম নারী যদি আন ভজে । যদি নাথ তোমার চরণ কৃপা নয় । ব্ৰত করি শরীর শোধিব অতিশয় ॥ শত শত জন্ম-ধরি তেজিমু জীবন। যাবত পদারবিন্দ নহে দরশনে ॥ এই নিবেদন কৈলু অভয়-চরণে । যে হয় উচিত নাথ করিবে আপনে ॥ ভাগৰত-আচার্য্যের মধুরল-ভাষী । কৃষ্ণগুণ শুন ভাই কৃষ্ণে ধর আশ । ( ১ ) পাঠান্তুর— ‘অলখিতে তুমি মোৰে লইবে হরিয়্যা" ( ২ ) পাঠান্তর,— *বীৰ্যশুষ্ক হরিলে তিন্সেক দোষ নয় । ইতি শ্ৰীভাগৰতে মহাপুরাণে পারমহংগুtং সংহিতায়াং বৈমাসিক্যাং দশমঙ্কন্ধে বিপৰগশোইখ্যায়ঃ ॥ ৫২ ৷