পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գե, পূৰ্ব্বে গঙ্গাতীরে—নরপতির আগারে । প্রতিষ্ঠা ধtহার দেখিলাম তথাকারে ॥ সেই বিষ্ণু—সৌন্দর্যামাধুর্য্য অতিশয় । চতুভূজ—শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্মচয় ॥ শুগমকাস্তি—বহুতর ভূষণে ভূষিত । চতুর্দিগে দেবতাগণে:ত আবরিত। নিবিড়ল চচ্চদানন্দমুৰ্বি মহাশয় । রুচির গরুড়স্কন্ধ-সিংহাসনে হয় ॥ নারদ বীণায় গান মধুরমধুর। র্তাছারে সম্মান প্রভু করেন প্রচুর । পাইতে উচিত যাহা—পাইয়া তথায় । দেখিলাম—অভিলাষ দেখিতে যাইtয় ॥ দূরে হৈতে পুনঃপুন দণ্ডের সমান । করিলাম প্রণাম হইয়া ভক্তিমান ॥ তবে অনুগ্রহ মোরে করি শ্রীবামনে । নিকটে আহবান কৈলা মুমিন্ধবচনে— ভালভাল আগমন করিলা এখানে । হে গোপনন্দন ! এথা মম সন্নিধালে । দণ্ডতুল্য প্ৰণাম তোমার ব্যর্থ হয় । গৌরব দেখিয়া মম না করিষ্ঠ ভয় ॥ করিলেম বিষ্ণু আজ্ঞা হন্দ্রের উপপ— আন গোপকুমারের করিয়া আদর ৷ আজ্ঞা-আমুসারে ইন্দ্র করিয়া প্রেরণ । দেবগণে আনাইলা আণারে তখন ॥ অগ্ৰেতে সাদরে যত্নে বসাল্যা আসলে । করাইলা অমৃতাদিন্দ্রব্যেতে ভোজনে । নন্দনবনেতে বাস দিলেন আমায় ! মনে অতিশয় হুষ পাইলাল তা ॥ দেখিলাম—কোন ভয় লাছিক তথায় । শোক রোগ মৃত্যু মানি পাড়া জর দ। ম্পদ্ধাদি কতক দোষ যে আছে নিহিত তাহা অামি গণনা না করিয়ে কিঞ্চিত ॥ যেহেতু শ্ৰীজগদীশ্বরের সন্দর্শনে। অনিৰ্ব্বচনীয় মুখ করিলু ভজনে ॥ ভ্রাতা আর ঈশ্বর শরণ ইহা জানি । স্নেহ আর গৌরব আদর বহু আনি । সুধা-পারিজাত-আদি দ্রব্যে পুরন্দর। পূজন করেল নিত্য শ্ৰীযুক্ত ঈশ্বর ॥ করিতাম মনে ইহা আমি নিরস্তর— অহো ভাগ্যবান—ধহধন্ত পুরন্দর ৷ যারে শ্রীবামনদেব করিয়া সাধন । যত উপদ্রব করি সুদূরীকরণ ॥ ঐীমদ্ভাগবত করিলেন ত্ৰিলোকের ঐশ্বৰ্য্য অপণে । তাহা পায়্যা দেবরাজ অতি হর্ষ মনে ॥ এই ভগবানে অতি সস্তোষিতমনে । দিব্য উপচারচয়ে করেন পূজনে ॥ স্বয়ং শ্ৰীবামনদেব হৈয়া তুষ্টমন । গ্রহণ করেন হস্ত করি প্রাসারণ ॥ এছমত ত্ৰৈলোক্যের ঐশ্বয্য বভব । হইবেক আমার সম্পদ আদি সব ॥ তাহে শ্রীবামনদেব সাদরে পুজিব । স্নেহেতে লক্ষ্মীশ তাহা গ্রহণ কমিব। এইমত কৃপা কি করিবে ভগবান ? এইরূপ কামনা করিয়া অকুমান ॥ করিরা সঙ্কল্প—ইষ্টমন্ত্র আপনার । থাকিয়) তথায় জপ কর অনুবার ॥ এক মুনিবরের প্রিয়ারে ইন্দ্র রাজ । গোপনে দূষয়া ৩ারে পাইলেন লাভ ৷ শাপভয়ে পদ্মের মৃণাল-মধ্যে গিয়া । লুক্কায়িত থাকিলেন গোপিত হইয়া ॥ দেবতাসকলে করি বহু অন্বেষণ । ইন্দ্রের না পাইলেন কুত্ৰtiপ দশন ॥ অরাজকহেতু আমুরiদর উৎপাতে । ত্রিলোকের মধ্যে হৈল অনেক ব্যাঘাতে ; পরে শ্রীউপেন্দ্রমহাশয়ের আজ্ঞায় । শচী-অদিতি-আদির অনুমতি তায় ॥ দেবগণ শ্ৰীগুরুর আজ্ঞা-অমুসারে । ইন্দ্রতুতে অভিষিক্ত করিল আমারে । ইন্দ্ৰভূ পাইলু পদ –তথাপি আমার ! নহুষাদি মত নাহি হৈল অহঙ্কার । শচা, অদিতি, শ্রীশুরু, আর বিপ্ৰগণে । করিতাম আমি নিত্য পূজা-সম্মাননে ॥ নববিধ বিষ্ণুভক্তি ত্রিলোকভিতর । সযত্নেতে প্ৰবৰ্ত্তন করি নিরস্তর ॥ স্বৰ্গরাজ্য পাইয়াও ভক্তির প্রভাবে । থাকিলাম পূৰ্ব্বমত অকিঞ্চলভাবে ॥ নিরস্তুর বাস করি নন্দনাখ্য বলে । নিজ জপ ত্যাগ নাহি করি কদাচনে । বাঞ্ছাসিদ্ধ হৈলে ত্যাগ করিলে সাধন । হয় অকৃতজ্ঞত্ব—এহেতু সে জপন । শ্রীমদলগোপালের করিয়া স্মরণ । র্তার ক্রীড়ামাধুৰ্য্যান্তে সদা মগ্ন মন ॥ সেইহেতু এই ব্ৰঞ্জভূমি কদাচন। শক্ত নাহি হইলাম হৈতে বিস্মরণ ॥