R _ীমান্তগৰদৰ্শীতা । অনলেতে তেজ আমি, পৃখিবীতে আমি পুণ্যমাণ, তপৰীয় তপোবলি, সৰ্ব্বভুতে আমি হুইপ্ৰাণ । “আমি সৰ্ব্বভুত বীজ, সনাতন, জেন তাহ স্থির, জ্ঞানীর আমিই জ্ঞান, তেজ আমি হই তেজস্বীর” । ৮-১০ অ্যামা হইতে সত্ব রাজ তম। এই ত্ৰিগুণেরও উৎপত্তি ; ইহারা আমাতে অধিষ্ঠিত, আমি ইহাদের সহিত লিপ্ত নাহি । এই ত্ৰিগুণ আমার মায়া।. এই মায়াজালে মানুষ্যের জ্ঞান বাতদিন আচ্ছন্ন থাকে, ততদিন তাহারা আমাকে দেখিতে পায় না । এই মায়া অপনীত হইলে সাধকের মনে “বাসুদেব সৰ্ব্বাঙ্গ জ্ঞান জন্মে। সকল জগতে আমাকে অনুপ্রবিষ্ট জানিয়া তখন সে অন্তরাত্মা রূপে আমার ভজনা করে। আমাকে না ভজিয়া যাহারা অন্য দেবতার উপাসনা করে, আমি তাহদের বাহানুরূপ ফলপ্ৰদান করি, কিন্তু সে ফল ক্ষণস্থায়ী । যাহারা আমাকে অনন্য চিত্তে ভজনা করেন, তাহারা রাগন্বেষ হইতে বিমুক্ত হইয়া আমাকে পাইয়া শাশ্বত শাস্তি উপভোগ করেন। অধিদেব, অধিষজ্ঞ, অধিভূত সহ, আমাকে যাহারা জানে, ভজে অহরহ, আমাতেই তারা সদা সমাহিত রায়, মরণ কালেও মোরে বিস্থিত না হয় ।