পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা - দেবেন্দ্রবিজয় বসু.pdf/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 चैभन्ङगदननौङा । অতএব জ্ঞান যাহা, তাহা এই সাত্বিক বুদ্ধির স্বরূপ, ভাব অথবা তাহার অবস্থাবিশেষ । বুদ্ধির কিরূপ অবস্থা বা ভাৰকে জ্ঞান ৰলে, তাহা এ স্থলে এই পাঁচ শ্লোকে উক্ত হইয়াছে । বুদ্ধিতে যখন এই অমানিত্ব প্ৰভৃতি উক্ত বিংশতি প্ৰকার ভাব প্ৰকাশিত হয়, তখন তাহাকে জ্ঞান বলা যায়। যখন বুদ্ধিতে ইহার বিপরীত ভাব-মানিত্ব, দস্তিত্ব প্ৰভৃতি প্ৰকাশ হয়, অথবা বুদ্ধি যখন এই সকল ভাবযুক্ত থাকে, তখন তাহাকে অজ্ঞান বলিতে হইবে । অতএব এই জ্ঞান ও অজ্ঞান বুদ্ধির স্বরূপ বা চিত্তের ধৰ্ম্ম । ইহা জ্ঞাতার জ্ঞেয়। চিন্তু নিৰ্ম্মল হইলেই এই অমানিত্ব প্ৰভৃতির বিকাশ হয়, এবং তখন নিৰ্ম্মল চিত্তের এই প্ৰকাশ অবস্থাকে ‘জ্ঞান” বলে। শ্রীতি অনুসারেও জ্ঞান-বুদ্ধিরই স্বরূপ। শ্রুতিতে আছে যথা-“যাচ্ছেৎ বাঙািমনসি প্ৰাজ্ঞঃ তৎ যাচ্ছেৎ জ্ঞান SBBB S BDBDD CDBBD DDBSSSSSS DDDS LrBDSLSSS qS BB DYDD অর্থ শঙ্করাচাৰ্য্যমতে “প্ৰকাশস্বরূপ বুদ্ধি।” বেদান্ত-শাস্ত্ৰে আছে যে, আমাদের চিত্তে প্ৰতিফলিত চৈতন্য জ্ঞাতা, জ্ঞেয় ও জ্ঞান, প্ৰমাতা, প্ৰমেয়, প্ৰমাণ, দ্রষ্টা, দৃষ্ট, দৰ্শন-এই প্রকার “ত্রি-পুটিযুক্ত। ইহার মধ্যে জ্ঞাতা-দ্ৰষ্টা বা প্ৰমাতা অন্তঃকরণে প্ৰতিফলিত আত্মস্বরূপ । জ্ঞান এই চিত্ত বা অন্তঃকরণ । আর জ্ঞেয়অন্তঃকরণে প্ৰকাশিত বাহ বিষয় । আর “জ্ঞা”-স্বরূপ আত্মা চিত্তে প্ৰতি-বিন্বিত হইয়া এই জ্ঞান প্ৰকাশ করে। “জ্ঞাতু-জ্ঞান-জ্ঞেয়ানার্স আবির্ভাবতিরোভাবিজ্ঞাত।” (সর্বোপনিষদ" সার, ৩) । অন্তঃকরণে এই জ্ঞাতা ও জ্ঞেয় সংযুক্ত হইয়া জ্ঞানের উৎপত্তি হয়। অন্তঃকরণ নিৰ্ম্মল হইলেই এই জ্ঞাতা ও জ্ঞেয় উভয়ই স্পষ্ট প্ৰতিফলিত হয়, এবং তৎসংযোগে জ্ঞান প্ৰকাশ হয় । সেই জ্ঞান-জ্ঞাতা ও জ্ঞেয়স্বরূপ প্ৰকাশ করে। অন্তঃকরণ যে পরিমাণে মলিন হয়, রজঃ ও তোমঃ যুক্ত হয়, সেই পরিমাণে জ্ঞান অজ্ঞানজড়িত হয়, এবং “জ্ঞাতা ও