পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা - দেবেন্দ্রবিজয় বসু.pdf/৫৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(S8 শ্ৰীমদভগবদগীতা । উক্ত হয় নাই। প্ৰকৃতি যে ত্ৰিগুণের দ্বারা ক্ষেত্ৰজ্ঞ পুরুষকে বদ্ধ করে, তাহাকে স্বীয়ভাবযুক্ত করে, সেই ত্ৰিগুণ দ্বারা কি রূপে বদ্ধ হইতে 枣可, তাহার তত্ত্ব এবং সেই ত্ৰিগুণ বন্ধন হইতে মুক্ত হইয়া ত্ৰিগুণাতীত ভাবে অবস্থান করিবার তত্ত্ব-এক কথায় ভূত প্ৰকৃতিমোক্ষ তত্ত্ব পরে চতুর্দশ ও পঞ্চদশ অধ্যায়ে বিবৃত হইয়াছে । যাহা হউক, এই ত্ৰয়োদশ অধ্যায়েই যে প্ৰকৃত তত্ত্বজ্ঞান সুচিত হইয়াছে, তাহা আমরা এ স্থলে সংক্ষেপে বুঝিতে চেষ্টা করিলাম । গীতার এই ত্ৰয়োদশ অধ্যায় সম্বন্ধে আমাদের আর একটি কথা বিশেষভাবে বুঝিতে হইবে। যাহা প্ৰকৃত ‘গীতাজ্ঞান’-যাহা গীতোক্ত ধৰ্ম্মের মূল সুত্র-কেতাহা এই অধ্যায় হইতেই আমরা জানিতে পারি। এই অধ্যায় হইতেই আমরা আমাদের প্রকৃত স্বরূপ কি, তাহার উপদেশ পাই । ক্ষেত্ৰজ্ঞ আমরা বে। আমাদের ক্ষেত্র বা শরীর হইতে সম্পূর্ণ 1. পৃথক তাহা জানিতে পারি। পুরুষ আমরা যে প্ৰকৃতি হইতে নির হইয়াও প্রকৃতিকে স্থিত হই এবং প্ৰকৃতিজ গুণ ভোগ করিয়া তাহাতে বদ্ধ হই, কিন্তু আমাদের প্ৰকৃত স্বরূপ যে দেহাতীত ও দেহ হইতে শ্রেষ্ঠ তাহাই যে পরমাত্মা মহেশ্বরীরূপে এই প্ৰকৃতির নিম্নস্তা, তাহা জানিতে পারি। শুধু তাহাই নয়, আমার ন্যায় তুমি, তিনি, এই সৰ্ব্বভুত, সৰ্ব্বজীব, বা সর্বসত্তার প্রকৃত স্বরূপ যে একই, আমরা সকলেই যে পরমার্থতি ৪ ক্ষেত্ৰজন্ত বা পুরুষ, তাক1. জানিতে পারি। ইহা হইতে আমরা সৰ্ব্বত্র ‘সমদর্শনের’ মূল সুত্ৰ পাই । গীতায় পুর্বে উক্ত হইয়াছে - “বিস্তাবিনয়সম্পন্নে ব্ৰাহ্মণে গাবি হস্তিানি । va 5a pir Pfv ar (e)” ) আমরা পূর্বে দেখিয়াছি যে, যখন ধ্যানযোগে ‘আত্মদর্শন হয়, তখন সৰ্ব্বভুতমধ্যে সেই আত্মা বা ব্ৰহ্মকে দর্শন করিয়া, সৰ্ব্বত্র সমদর্শী হওয়া वांद्र । स्त्रांबांन्बणिब्रांप्रून