পাতা:শ্রীমদ্ভাগবত - ত্রয়োবিংশ খণ্ড (দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়).pdf/৩২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

96* শ্ৰীমদ্ভাগবত । ও দীর্ঘ। চক্ষু নুতন পদ্মের ন্যায় বক্তবর্ণ। তিনি নিরন্তর আনন্দিত। তাহার মুগঠন কপোলযুগল শ্ৰীমান্‌ ; হাস্য শুজ ; মুখারবিদে মকরকুণ্ডল স্ফর্তি পাইতেছে। ( যবন দেখিয়া মনে মনে চিম্ভা করিল ;– এই পুৰুষ শ্ৰীবৎসচিহ্লে চিহ্ণিত ও অভিমুন্দর । ই হার চারিধানি বাহু ; চকু পঘতুল্য ; এবং গলায় বনমালা। নারদ এই সকল চিন্ধুের কথাই কহিয়াছিলেন । অভএব এই সকল চিচু দেখিয়া ( নিশ্চয় বোধ হইতেছে, ) ইনিই বাসুদেব ; অন্য কেহ হইবেন না । , যবন এই নিশ্চয় করিয়া, বিমুখ হইয়া পলায়মান, যোগিগণেরও দুশ্রীপ (শ্ৰীকৃষ্ণকে ) ধারণ করিবার নিমিত্ত র্তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ ধাবিত হইল । যেন হস্তগ্রস্ত হইলেন, হরি পদে পদে আপনাকে এইরূপ প্রদর্শন করিয়া, যবনরাজকে অভিদূরবর্তি গিরিকন্দরে লইয়া গেলেন । “তুমি যদুকুলে জন্ম গ্রহণ করিয়াছ ; পলায়ন করা তোমার উচিত হয় না ;" এই বলিয়া ভিরস্কার করিতে করিতে যবন উপহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ যাইতে লাগিল ; কিন্তু তাহার কৰ্ম্ম ক্ষয় হয় নাই ; (অতএব ) তাহাকে প্রাপ্ত হইল না । ভগবান উক্ত প্রকারে তিরস্কৃত হইয়াও গিরিকন্দরে প্রবেশ করিলেন । যবনও ভষ্মধ্যে প্রবেশ করিয়া দেখিল, এক মনুষ্য শয়ন করিয়া আছেন । “নিশ্চয় এই আমাকে দূরে আনিয়া এই স্থানে সাধুর ন্যায় শয়ন করিয়া আছে; মুদ্র এই ভাবিয়া অচ্যুত মনে করিয়া উহাকেই পাদ দ্বারা প্রহার করিল । তিনি অনেক কাল নিদ্রিত ছিলেন ; অপে