পাতা:শ্রীমদ্ভাগবত - ত্রয়োবিংশ খণ্ড (দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়).pdf/৪২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম স্কন্ধ। ৬৫ অ। 3 oxo ঘৰ্ম্মৰূপ-হিম-(কণা)-শোভিত-মুখপদ্ম-ধারী মদমত্ত ঈশ্বর জলক্রীড়া করিবার নিমিস্ত যমুনাকে আহবান করিলেন। ( যমুনা আসিলেন না। ) * অামি মত্ত ; এই জন্ত আমার বাক্য অগ্রাহ করিয়া আসিল না ; এই মনে করিয়া বলদেব কুপিত হইয়া হলাগ্র দ্বারা তরঙ্গিনীকে আকর্ষণ করিলেন ; ( এবং কহিলেন, ) পাপে ! আমি আহ্বান করিলাম ; তুমি আমাকে অগ্রাহ করিয়া আগমন করিলে না ; তুমি আপন ইচ্ছামত কার্য্য করিলে ; অতএব লাঙ্গলাগ্র দ্বারা তোমায় শতধ{ করিব । রাজনৃ ! ( রাম ) এইৰূপে তিরস্কার করিলে পর, যমুনা ভৗত ও চকিত এবং পাদযুগলে পতিত, হইয়া যদুনন্দনকে কহিলেন, হে রাম । রাম ! হে মহাবাহে ! আমি আপনার বিক্রম জ্ঞাত নহি । হে জগৎপতে । আপনার এক অংশ পৃথিবী ধারণ করিয়াছে! হে ভগবন্‌ ! আমি ভগবানের অপার প্রভাব জানি না ; আমাকে ত্যাগ করা উচিত হইতেছে। হে বিশ্বাত্মন্‌ ! হে ভক্তবৎসল । আমি প্রপন্ন । অনন্তর ভগবান বলদেব যাচিত হইয়া, যমুনাকে পরিত্যাগ করিলেন ; এবং গজরাজ গজিনীদিগের স্যায়, স্ত্রীদিগের সহিত জলে অবতীর্ণ হইলেন। যথেচ্ছ বিহার করিয়া জল হইতে উথান করিলে পর, লক্ষ্মী তাহাকে নীলবস্ত্র ও উত্তরীয়, মহাযুল্য অলঙ্কার সকল এবং মঙ্গলময়ী মালা দান করিলেন । (রাম) নীল বসন ও উত্তরীয় এবং কাঞ্চনময়ী মালা পরিধান করত স্বন্দরন্ধপে অলঙ্কত ও চন্দনে লিপ্ত হইয়া, ইন্দ্রের হস্তীর ষ্টায়, শোভা পাইতে লাগিলেন। রাজনৃ ! অদ্যাপিও দেখিতে