পাতা:শ্রীমদ্ভাগবত - ত্রয়োবিংশ খণ্ড (দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়).pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 শ্ৰীমদ্ভাগবত । তৃণাবৰ্ত্ত বাত্যারূপ ধারণ করিয়া শ্ৰীকৃষ্ণকে হরণ করিতেছিল; ক্রমে তাহার বেগ শাস্তু হইয়া আসিল । সে আকাশ পর্য্যস্ত গমন করিয়া, প্রভূত ভারে আক্রান্ত হওয়াতে, আর গমন করিতে পারিল না । অত্যন্ত গুৰুভাহেতু বালককে পৰ্ব্বততুল্য বোধ করিতে লাগিল । বালক তাহার গলদেশ ধারণ করিয়াছিলেন ; অতএব সে র্তাহাকে পরিত্যাগ করিতে ইচ্ছা করিল। কিন্তু তিনি অদৃভুত বালক , ত্যাগ করিতে সমর্থ হইল না । গলদেশে গৃহীত হওয়াতে, দৈত্যের অঙ্গ সকল নিশ্চেষ্ট হইল ; এবং লোচনদ্বয় বহির্গত হইয়া পড়িল । সে অস্পষ্ট শব্দ করিতে করিতে জীবন-শূন্য হইয়া ব্রজে পতিত হইল । স্ত্ৰীসকল একত্রিত হইয়া রোদন করিতেছিল ; তাহারা দেখিতে পাইল সেই ভয়ানক রাক্ষস ৰুদ্র-বাণ-চ্ছিন্ন পুরের ন্যায় শিলাতলে পতিত হইল ; এবং তাহার সর্বাঙ্গ চূর্ণ হইয়া গেল। কৃষ্ণ তাহার বক্ষঃস্থল অবলম্বন করিয়াছিলেন । রমণীগণ তাহাকে লইয়া মাতাকে অপণ করিল, এবং বিস্মিত হইল । রক্ষস বালককে আকাশপথে লইয়া গিয়াছিল; তথাপি তিনি মৃত্যু-মুখ হইতে পরিত্রাণ পাইলেন ; কোন আঘাতই হইল না । গোপী এবং নন্দ প্রভৃতি গোপগণ র্তাহাকে এতাদৃশ অবস্থায় পুনঃ প্রাপ্ত হইয়া নিরতিশয় আনন্দ লাভ করিলেন । (কহিতে লাগিলেন, ) অহো, কি আশ্চৰ্য্য ; রাক্ষস বালককে হত্যা করিয়াছিল ; তথাপি এ পুনৰ্ব্বার জীবিত হয় আসিল অথবা, হিংস্র খল ব্যক্তি আগন পাপেই মরিয়া থাকে ; সৰ্ব্ব প্রাণীকে সমান দর্শন করাতে সাধু (কিন্তু বিপদ হইতে মুক্ত হন । আমরা কি তপস্যা করিয়াছিলাম ;