দ্বিতীয় অধ্যায় । $లిచి অতএব টীকাকার কখনও যাবান কাটিয়া তাবান, তাবান কাটিয়া যাবান করিবার অধিকারী নহেন । কিন্তু এখানে টীকাকার ঠিক তাহাই করিয়াছেন । বুঝিবার জন্ত শ্লোকের চারিট চরণে ক্রমান্বয়ে ক, খ, গ, ঘ, চিহ্ন দেওয়া যাক্ । তাহ। হইলে শ্লোকস্থ “যা যানের” গায়ে (ক) এবং “তাবানের” গায়ে (গ) চিহ্ন পড়িতেছে। (ক) যাবানর্থ উদপানে (খ) সৰ্ব্বতঃ সংপ্ল তোদকে (গ) তাবান সৰ্ব্বেষু বেদেষু, (ঘ) ব্রাহ্মণস্ত বিজানতঃ তদ্ব্যাখ্যায় টাকাকার করিয়াছেন--- (ক) যাবানর্থ উদপানে (খ) তাবান সৰ্ব্বত: সংপ্ল,তোদকে (গ) যাবান সৰ্ব্বেষু বেদেষু (ঘ) তাবান ব্রাহ্মণস্ত বিজানতঃ এক্ষণে পাঠক (গ)তে (গ)তে মিলাইয়া দেখিবেন তাবান্ কাটিয়া যাবান হইয়াছে কি না । * দ্বিতীয় আপত্তি এই যে, ব্যাখ্যার প্রয়োজন মতে ব্যাখ্যাকার যাবান তাবান বসাইয়া বুঝাইয়া দিতে পারেন । কিন্তু নিম্প্রয়োজনে বসাইতে পারেন কি ? যেখানে নুতন যাবান তাবান্ না বসাইয়া ও সত্য বটে, শঙ্করাচাৰ্য্য তাবান শব্দের স্থানে যাবান শব্দ ব্যবহার করার বিষয়ে সতর্ক হইয়াছেন, কিন্তু তৎপরিবর্তে “ৰদ” শব্দ ব্যবহার করিয়াছেন । কাজেই এক কথা । -
পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৪৪
অবয়ব