বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শ্রীমদ্‌ভগবদ্‌গীতা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায় । リ。 আসিবে, হিমালয়ের উপর দাড়াইরা মঙ্গলাদি গ্রহ উপগ্রহবাসী কিন্তুত কিমাকার জীবগণের সঙ্গে কথোপকথন বা যুদ্ধ করিবে, এ বেলা ও বেলা হুৰ্য্যলোকে অগ্নিভোজনের নিমন্ত্রণ রাথিতে যাইবে । মনে কর, ভগবান সৰ্ব্বজ্ঞতাপ্রযুক্ত এই ভাব বিজ্ঞানের সঙ্গে স্বসঙ্গতি রাথিয়৷ তদুপযোগী ভাষায় নূতন ধৰ্ম্মতত্ত্ব প্রচার করিলেন। করিলে, শুনিবে কে ? বুঝবে কে ? অম্বুবত্তী হইবে কে ? কেহ না । এইজন্ত ঈশ্বরোক্তি সময়োপযোগী ভাষায় প্রচারিত হওয়া উচিত । তার পর, ক্রমশঃ মানুষের জ্ঞানবৃদ্ধির সঙ্গে, সেই প্রাচীন কালোপযোগী ভাষার দেশ কাল পাত্রের উপযোগী ব্যাখ্যা হইতে পারে । সেই জন্যই শঙ্করাদি দিগ্বিজরী পণ্ডিতকৃত গীতাভাষ্য থাকিতেও, আমার স্তায় মুর্য অভিনব ভtধ্য রচনায়ু সাহসী । এই সী হুট শ্লোক যে বৈজ্ঞানিক অসত্যে কলঙ্কিত, এই প্রথম আপত্তির আমি এই তিনটা উত্তর দিলাম। দ্বিতীয় আপত্তি এই উপস্থিত হইতে পারে, যে এই সাতটা শ্লোক গীতোক্ত নিষ্কাম ধৰ্ম্মের বিরোধী ! এ আপত্তি অতি বথার্থ। তবে এই কয়ট শ্লোক কেন এখানে আসিল, এ প্রশ্নের উত্তর শঙ্কর ও শ্রীধর যেরূপ দিয়াছেন, তাহ! নবম শ্লোকের টীকায় বলিয়াছি। মধুস্থদন সরস্বতী যে উত্তর দিয়াছেন, তাহ অপেক্ষাকৃত সঙ্গত বোধ হইতে পারে। পরিব্রাজক শ্ৰীকৃষ্ণপ্রসন্ন সেন তাহার মৰ্ম্মার্থ অতি বিশদরূপে বুঝিয়াছেন, অতএব তাহার কৃত গীতাৰ্থ-সন্দাপনী নামী টাকা হইতে ঐ অংশ উদ্ধৃত করিতেছি । “সহযজ্ঞ” অর্থাৎ কৰ্ম্মাধিকারী ব্ৰাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্যকে