পাতা:শ্রীমাধবেন্দ্রপুরী ও বল্লভাচার্য্য.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V) শ্ৰীমাধবেন্দ্ৰপুরী ও বল্লভাচাৰ্য্য। সারাদিন অনাহারে আছেন, এই দুগ্ধ পান করুন।” বালকের সেই অপূর্ব রূপ দর্শনে তাহার নয়ন। মুগ্ধ ও শরীর পুলকিত হইল। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন তুমি কি করিয়া জানিলে আমি এখানে অনাহারে রহিয়াছি ?” বালক বলিল, “আমার মাতা যমুনায় জল লইতে আসিয়া আপনাকে দেখিয়া গিয়াছিলেন, তিনিই এই দুগ্ধ ভাণ্ড আমাকে পাঠাইয়া দিয়াছেন।” এই বলিয়া কালবিলম্ব না করিয়া বালকাটী তথা হইতে প্ৰস্থান করিল। পুৱীজি সেই দুগ্ধ পান করিয়া তাহার অপূর্ব আস্বাদে মুগ্ধ হইলেন, তাহা দুগ্ধ কি স্বর্গের অমৃত তাহা বুঝিতে পারিলেন না। বালকের রূপ ও দুগ্ধের অপূৰ্ব আস্বাদ চিন্তা করিতে করিতে তিনি নিদ্রাভিভূত হইলেন, এবং এক অদ্ভুত স্বপ্ন দেখিলেন। তিনি দেখিলেন যেন সেই শ্যামসুন্দর বালক পুনরায় তাহার নিকট উপস্থিত হইয়াছেন, এবং তাহার হাত ধরিয়া তৃণগুল্মাচচ্ছাদিত বনের দিকে লইয়া গেলেন। তঁাহাকে বলিলেন “দেখ মাধবেন্দ্ৰ ! আমার স্বরূপ মূৰ্ত্তি চারিশতাধিক বর্ষ পূর্ব হইতে এখানে এই গিরিরাজ গোবৰ্দ্ধানের উপরিদেশে বনের মধ্যে মাটীর তলে প্রোথিত রহিয়াছে। আমি শ্ৰীগোপাল ; আমিই গোবৰ্দ্ধনগিরি ধারণ করিয়াছিলাম। যবন অত্যাচারের সময় আমার পূজারীরা আমার বিগ্ৰহ মূৰ্ত্তিকে মৃত্তিকাতলে রাখিয়া দিয়া পলাইয়া গিয়াছিল ; সেই অবধি আমি মাটির তলদেশেই রহিয়াছি। পূর্বে এই স্থলে আমার মন্দির ছিল। তুমি Digitized at BRCIndia.com