डूभक ! ভক্তির স্বরূপ,ভক্তির আবির্ভাবের ক্রম, ভক্তির লোক্যতীত মহিমা—এই সকল । বিষয় অতি সরলভাবে শ্রীগৌড়ীয়-সমাজে প্রচার করিবার জন্ত আচাৰ্য্যবৰ্য্য শ্রীপাদবিশ্বনাথ চক্রবর্তী “মাধুৰ্য্যকাদম্বিনী" নামক গ্রন্থ-রচনা করিয়াছিলেন । শ্রীল চক্রবৰ্ত্তিপাদের এই গ্রন্থ বাঙ্গলা পদ্যে কিঞ্চিদধিক একশত বৎসর পূৰ্ব্বে শ্ৰীল কৃষ্ণদাস বাবাজী কর্তৃক অনূদিত হইয়াছিল। প্রযুক্ত বাবাজী-মহাশয়ের ঐ গ্রন্থ বটতলা হইতে একবার মুদ্রিত হইয়াছিল। শ্রীল চক্রবত্তি-মহাশয় গুরুপ্রণালী অনুসারে বাবাজী-মহাশয়ের পূর্ব চতুর্থ বা পঞ্চম পুরুষ—এইরূপ জনশ্রুতি আছে। এই গ্রন্থে শ্রীল বিশ্বনাথের প্রতি র্তাহার অসীম শ্রদ্ধা দেখিয়া মুগ্ধ হইয়াছি। তিনি শ্রীল বিশ্বনাথকে শ্রীরূপ-গোস্বামীর অবতার বলিয়া স্তব করিয়াছেন । মহামহোপাধ্যায় শ্রীল বিশ্বনাথ চক্রবর্তী বাঙ্গালী-জাতির গৌরব । তিনি গৌড়ীয়-বৈষ্ণব-সমাজের জন্য কি করিয়াছেন–র্তাঙ্কার জীবনী-প্রসঙ্গে অতি সংক্ষেপে তাহার বিন্দুমাত্র আভাস প্রদানের চেষ্টা করিয়াছি। অপেক্ষাকৃত বিস্তৃতভাবে তাহা আলোচনা করিবার জন্ত শ্রীল বিশ্বনাথের একখানি জীবনী গ্রন্থ প্রণয়নে অযোগ্য হইলেণ্ড অতি লোভবশে হস্তার্পণ করিয়াছি। অদোষদশী প্রক্রিবৈষ্ণববৃন্দের কৃপাণীৰ্ব্বাদ থাকিলে উহা শীঘ্রই প্রকাশিত হইতে । পরিবে । আধুনিক-জগতে নিত্যধামগত অদ্বৈতবংশাবতংস ক্রল রাধিকানাথ গোস্বামিপ্রভু সৰ্ব্বপ্রথমে ইল চক্রবত্তিপাদের অপুৰ্ব্ব প্রতিভা হৃদয়ঙ্গম করিয়া তাহার গ্রন্থাবলী প্রচার করিয়াছিলেন । তিনি ৪-৫ গৌরাঝে পাক্ষিক-বিষ্ণুপ্রিয়াপত্রিকায় শ্ৰীল চক্রবত্তিপাদের জীবনী সম্বন্ধেও আলোচনা করিয়াছিলেন। তৎপরে শ্রীনিত্যানন্দ-বংশীয় নিত্যধ্যামগত শ্রীল শুমলাল গোস্বামী মহাশয় ৪১২ গৌরাঙ্গে (১৩০৪ সালে ) ঐগ বিশ্বনাথ চক্ৰবৰ্ত্তি মহাশয়ের বিন্দু, কিরণ, কণা, রাগবত্ম চন্দ্রিক ও মাধুৰ্য্যকাদম্বিনী এই পাঁচখানি পুস্তক বঙ্গানুবাদ সহ প্রকাশ করেন । এই গ্রন্থ এতই জনপ্রিয় হয় যে, তিন বৎসর পরে উহার আর একটা সংস্করণ প্রকাশিত হয়। উক্ত প্রভুপাদ প্রেমসম্পূট প্রভৃতি শ্ৰীল বিশ্বনাথের আরও কয়েকখানি পুস্তক স্বকৃত টীকা ও অনুবাদ সহ প্রকাশ করেন। ঐসকল গ্রন্থ আর পাওয়া যায়ন দেখিয়া আমি নিতান্ত অযোগ্য হইলেও প্রভূপা
পাতা:শ্রীমাধুর্য্য-কাদম্বিনী.djvu/৩
অবয়ব