পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বহর । ধন্তমণিক্য খণ্ড । 는 মঙ্গল বার রাত্রে আমি স্তম্ভিৰ গোমতী । সপ্ত দিন জল স্তম্ভ রাখিব সম্প্রতি ॥ বলাগমার বাক্যে রাজার তুষ্ট হৈল মন । বলাগমাকে রাজ প্রসাদ দিল সেই ক্ষণ ॥ মঙ্গল বার রাত্রিতে সসজ্জ হইল । দুই কুলা বাহুযুলে বান্ধি উড়া দিল ॥ (১) দুই শত হাত উচ্চে উড়িল গগন । উড়িয়া নদীর মধ্যে হইল পতন ॥ উজানে চালায় স্রোত চর পড়ে ভাটি। আনন্দিত গোঁড় সৈন্য রহে পরিপাটী ॥ হোসন সাহের ভাগ্যে নদী দিল চর। চরেতে রহিল সৈন্য করি বাসা ঘর ॥ আর দেখে নদী তীরে পাষাণ প্রতিমা । হিন্দু সবে পূজা করে জানিয়া মহিমা ॥ সেই স্থানে নাম ছিল মাচিছা বিখ্যাত । পুনর্জন্ম নহে বলে ত্রিপুরা সাক্ষাত ॥ (২) এই মত নানালাপ সৈন্য মধ্যে হৈল। নানা ভোগে গোঁড় সৈন্যে বহু নিদ্রা গেল। ভেরুয়া (৩) কাটিয়া সৈন্তে সাজায় বিস্তর। তিন তিন পুতলা রাখে ভেরুয়া উপর ॥ দুই দুই বুন্দা (৪) দিল পুতলার হাতে । সহস্ৰ সহস্ৰ বুন্দা পুতলা সহিতে ॥ (৫) নিশাকালে বলাগমায় উঠে জল হতে । কল কল শবদ করে গোমতীর স্রোতে ॥ সহস্ৰ সহস্ৰ ভেরুয়া চলিল ভাটিত । সহস্ৰ সহস্ৰ বুন্দা তাতে প্রজ্বলিত ॥ (२) उज्जीमिण-ठेष्ठौब्रभांना इहेण । (২) এই দেবস্থান দর্শন করিলে পুনর্জন্ম হয় না, ত্রিপুরাগণ এইরূপ বলিয়া থাকে। (৩) ভেরুয়া—ম্ভেলা । (৪) বুনা-অগ্নির বোলা, উল্কা, মশাল। (৫) প্রত্যেক ভেলায় তিনটী পুতুল এবং প্রত্যেক পুতুলের হন্তে দুইটা প্রজ্জ্বলিষ্ঠ মশাল দেওয়া হইয়াছিল।