পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/২৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মৰা-মণি । yQ শ্রেণীমালা গ্রন্থে লিখিত আছে ; “কমল নামেতে হৈল তাম মহারাণী । মানস্থানে দিল দীঘি আর পুষ্করিণী ॥” ইত্যাদি। ধন্যমাণিক্যের পুত্র দেবমাণিক্যের দুই মহিষীর মধ্যে প্রধান মহিষী চতুর্দশ দেবতার প্রধান পূজক চন্তাইয়ের দুহিতা ছিলেন, দ্বিতীয়া মহিষীর পরিচয় বর্তমান সময়ে পাওয়া যাইতেছে না । দেবমাণিক্যের পুত্র ইন্দ্রমাণিক্য নিতান্ত বাল্যাবস্থায় সিংহাসন লাভ করিয়া অল্পকাল রাজ্য ভোগ করিবার পর, সেনাপতি কর্তৃক নিহত হইয়াছিলেন ; সম্ভবতঃ তিনি বিবাহ করেন নাই। ইন্দ্রের বৈমাত্রেয় ভ্রাত বিজয়মাথিক্যের মহিষীর নাম রাজমালায় ‘পুণ্যবতী’ লিখিত আছে। যথা : “বিজয়মাণিক্য নাম হৈল নরপতি । তাহান মহাদেবী নাম ছিল পুণ্যবতী।” বিজয়মাণিক্য খণ্ড—৩৯ পৃঃ । এই ‘পুণ্যবতী নাম বিশুদ্ধ বলিয়া বোধ হয় না ; সস্তবতঃ ইহা মহাদেবীর বিশেষণ । এরূপ ধারণা ভিত্তিহীন নহে। রাজমালায় অন্যত্র লিখিত আছে — “হিরাপুরে লক্ষ্মীরাণী বনবাস লেবী । পরে রাজ বিভ করে আর মহাদেবী ॥ প্রধানস্থ পাত্র মিত্র রাজাতে কহিল । কতদিন পরে রাজা লক্ষ্মীরাণী নিল । বিজয়মাণিক্য থও—৪৩ পৃঃ । এতদ্বারা জানা যায়, মহারাণীর নাম লক্ষনী দেবী ছিল । শ্রেণীমালায রাণীর নাম আরও স্পষ্টতররূপে উল্লেখ করা হইয়াছে, যথা – “বিজয়মাণিক্য পত্নী নাম লক্ষ্মীবালা । পুণ্যবতী মহারাণী ছিলেন অবলা ।” শ্রেণীমালা । এ স্থলে মহারাণীর নাম লক্ষীবালা পাওয়া যাইতেছে। ‘পুণ্যবতী শব্দটা মহারাণীর বিশেষণ না হইযা নামান্তর হওয়াও বিচিত্র নহে। পূর্বোন্ধত “তাহাৰ মহাদেবী নাম ছিল পুণ্যবতী," এই বাক্য ব্যতীত রাজমালার নিম্নোক্ত উক্তি দ্বারাও এই সন্দেহ জন্মিতেছে । “ত্রিপুর কুলেতে লে যে শুভ জন্ম কম্ভ । পুণ্যবতী নামে হৈল পৃথিবীতে ধন্ত ॥ 靜 তাম্রপত্রে লিখি দিল পুণ্যবতী নামে । পুণ্যমতী বতী সতী শ্লোক অনুক্ৰমে ॥ বিধিমতে ভূমি কত উৎসৰ্গিয় দিল। cषन् घड नांब ८लदैौ ८ङन कार्षीं कण ॥* জিম্বুমাণিক্য খগু—৩৯ পুং । 3:R