পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৩১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লহর } মধ্য-মণি । ১২৩ যে ব্যক্তি সেনাপতি রণাগণ নারায়ণের মস্তক ছেদন করিয়া সাহসের পরিচয় দিয়াছিলেন, তিনি ‘সাহস নারায়ণ’ উপাধি পাইয়াছিলেন । * এক সেনাপতি বিশেষ দক্ষতার সহিত হস্তী খেদার কার্য সম্পাদন ও হস্তী ধৃত করায় “গজভীম নারায়ণ” উপাধি লাভ করেন। এবম্বিধ অনেক উপাধির উল্লেখ রাজমালায় পাওয়া যায় ; ইহার কোন উপাধিই নিরর্থক নহে। বৃটিশ গভর্ণমেণ্ট, বিজয়ী সৈন্যাধ্যক্ষদিগকে বিজয়ের নিদর্শনস্বরূপ নানাবিধ উপাধি প্রদান করিয়া থাকেন, ত্রিপুর রাজ্যে প্রচলিত্ত উপাধি বৃটিশ শাসনের অনেক পূর্ব হইতেই প্ৰবৰ্ত্তিত ছিল। যুদ্ধাস্ত্র । রাজমালা দ্বিতীয় লহর আলোচনায় জানা যায়, সেকালে সৈনিক বিভাগে an era or ধনুৰ্ব্বাণ, খড়গ, চৰ্ম্ম (ঢাল), জাঠী, বন্দুক এবং কামান প্রভৃতি অস্ত্র ব্যবহৃত হইত। ইহার কিঞ্চিৎ আভাস নিক্ষে দেওয়া যাইতেছে । (১) “দুই সহস্র পদাতি আসিল ধনুঃসরে।” थशभौओिं क7 थ७,->& श्रृं: । (২) “দুই সৈন্ত আগু হৈয়া সংগ্রাম মাঝার । তীর বন্দুকের যুদ্ধ পাছে খড়গ ধার।” বিজয়মাণিক্য খও,—৪৭ পৃঃ । (৩) "তিন সহস্র ত্রিপুরগণ খড়গ চৰ্ম্ম লৈয়া । কাটয়ে পাঠান সৈন্য কোঠে প্রবেশিয়া ॥” বিজয়মাণিক্য থও,—৪৮ পৃঃ । (৪) "নৌকা প্রতি পঞ্চ বন্দুক পঞ্চ তীরন্দাজ । আর নৌকায় রাখিলেক পদাতি সমাজ ॥” বিজয়মাণিক্য খগু,—৫৪ পৃঃ । (৫) “খড়গ চৰ্ম্ম জাঠি হাতে দেখি ভয়ানক ” বিজয়মাণিক্য থও,–৫৮ পূঃ । (৬) “ভাঙ্গিল ফা নামেতে উড়িয়া নারায়ণ । কামানের গোলাঘাতে তাহার মরণ ॥* জয়মাণিক্য থও,—৭১ পৃঃ । ইহা সম্পূর্ণ কামান বন্দুকের যুগ নহে ; ধনুৰ্ব্বাণ ও খড়গ চৰ্ম্মের সহিত কামান বন্দুক ব্যবহৃত হইত। কিন্তু এই সময় কোন শক্তিরই আগ্নেয় অস্ত্রের видировании மறு:

  • “রণাগণ মস্তক কাটিল যেই পাইকে ।

সাহস নারায়ণ খ্যাতি করিলাম তাকে ॥” জয়মাণিক্য १७,-१४ *ः । r! .