পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৩২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* * * প্লাজমালা । { দ্বিতীয় বীরত্ব প্রভাবে, আট মাসের চেষ্টায় সেই যুদ্ধে জয়লাভ হইয়াছিল। অতঃপর ক্রমান্বয়ে সমগ্র কুকি প্রদেশ ত্রিপুরেশ্বরের হস্তগত হয়। এই সময় ত্রিপুর রাজ্যের পূৰ্ব্বসীমা ব্রহ্মদেশের সহিত সংলগ্ন হইয়াছিল। মহারাজ ধন্য, ১৪৩৫ শকে (১৫১৩ খৃঃ) সেনাপতি রায় কাচাগের (চয়চাগের) naম অভিবন ও অধিনায়কত্বে বিস্তর সৈন্য লইয়া স্বয়ং চট্টগ্রাম আক্রমণ করেন। বিজয়। তিনি এই যুদ্ধে জয়যুক্ত হইয়া, গৌড় সৈন্যদিগকে চট্টগ্রাম হইতে বিতাড়িত করিয়াছিলেন। এতৎসম্বন্ধে রাজমালায় লিখিত আছে ;– "তারপরে শ্ৰীধন্যমাণিক্য নৃপবর । চাটিগ্রাম জিনিলেক করিয়া সময় ॥ চৌদশ পাচত্রিশ শকে সমর জিনিল । চাটিগ্রাম জয় করি মোহর মারিল ৷ ੱਥ যতেক সৈন্ত চট্টলেতে ছিল । শ্ৰীধন্যমাণিক্য তাকে দূর করি দিল ।” ধন্তমাণিক্য খণ্ড । ‘কামরূপ কোপত বিজয়ী গৌড়েশ্বর হোসেন সাহ পরাজয় বার্তা শ্রবণ করিয়া aw manao ক্ষুব্ধ হইলেন, এবং গৌড়াইমল্লিক নামক সেনাপতির অধীনে আক্রমণ। বিস্তর সৈন্য ও হস্তী, ঘোড়া সহ বিপুল নৌ-বহর ত্রিপুরেশ্বরের বিরুদ্ধে প্রেরণ করিলেন। তাহারা গোমতী নদী পথে কুমিল্লায় আসিয়া মেহেরকুল দুর্গ আক্রমণ ও জয় করিল। ত্রিপুর সৈন্য পশ্চাৎপদ হইয়া চণ্ডীগড় দুর্গে আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিল। মোগল বাহিনী তাহাদের অনুসরণ না করিয়া রাজধানী আক্রমণের নিমিত্ত কৃতসঙ্কল্প হইল । এই সময় ত্রিপুর সৈন্যগণ কৌশলক্রমে পাঠান সৈন্যদিগকে যে ভাবে নদী স্রোতে ডুবাইয়া মারিয়াছিল, তদ্বিবরণ অতঃপর বর্ণিত হইবে । এ যাত্রায় গৌড়াই মল্লিক হতাবশিষ্ট মুষ্টিমেয় সৈন্য লইয়া কোনমতে প্রাণ বঁচাইয়া পলায়ন করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন । ইত্যবসরে চট্টগ্রামে পুনর্বার গৌড় সৈন্য আগমন করায়, ধন্যমাণিক্য তথায় २छबगिप्काब पीडग्न अंख् প্রদেশ সম্যকরূপে হস্তগত এবং পাঠানদিগকে আরাকান বিজয়। বিতাড়িত করিয়া এক সৈন্যাবাস স্থাপন করিলেন। অতঃপর রসাঙ্গ ( আরাকান ) রাজ্য আক্রমণ ও কিয়দংশ অধিকার করিয়া, বিজিত প্রদেশে এক কিল্লা স্থাপন ও পুষ্করিণী খনন করিয়াছিলেন। এতদুপলক্ষে বিজয়ী সেনাপতিকে পূর্বকথিত “রসাঙ্গমৰ্দ্দন নারায়ণ” উপাধিতে ভূষিত করা হয়। এই সেনাপতি রসাঙ্গের অবশিষ্টাংশ জয় করিতে অসমর্থ হওয়ায়, মহারাজ ধন্যমাণিক্য র্তাহার সাহায্যাৰ্থ রায়কাচাগ (চয়চাগ) ও রায়কছম নামক প্রবল পরাক্রান্ত সেনাপতিদ্বয়কে পাঠাইলেন। কিন্তু ইতিমধ্যে হোসেন সাহ পুনর্বার ত্রিপুরা আক্রমণের নিমিত্ত বিস্তর