পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه (ده অনেক আছে। বিশেষতঃ দ্রুহ্যর অধস্তন ৮ম স্থানীয় প্রচে তার নাম পৰ্য্যন্ত শাস্ত্র আলোচনায় পাওয়া যায়। প্রচেতার পুত্রসংখ্যা একশত ছিল, তাহদের নাম বা ংশ বিবরণ কোন গ্রন্থেই নাই। সূৰ্য্যবংশের অবস্থাও চন্দ্রবংশেরই অনুরূপ । এই সকল কারণে শস্ত্র গ্রস্থের সাহায্যে প্রাচীন বংশধারা বিশুদ্ধভাবে উদ্ধার করা তুষ্কর বলিয়া মনে হয়। প্রাচীন বংশবল্লী স্মৃতির উপর নির্ভর করিত, পূর্বোক্তরূপ বৈষম্য লক্ষিত হইবার ইহাও অন্যতর কারণ । যাহা হউক, এবম্বিধ সামস্য অনৈকের দরুণ স্মরণাতীত কাল হইতে রক্ষিত প্রাচীন বংশ-পত্রিকা সমূহ উপেক্ষ করা সঙ্গত হইবে না ; সুবিজ্ঞ পার্জিটর সাহেব ভারতীয় প্রাচীন বংশাবলী সম্বন্ধে গভীর গবেষণাদ্বারা ইহাই নির্দেশ করিয়াছেন । ৫ পুরাণের সাহায্য ব্যতীত স্থদূর অতীতের বংশলতা সংগ্রহ করা অসম্ভব ৰশদল গাছের হইলেও অপেক্ষাকৃত পরবর্তীকালের বিবরণ দুষ্প্রাপ্য নহে। খীন হই । আমাদের দেশের চিরাচরিত একট প্রাচীন প্রথা এ বিষয়ে বিশেষ সাহায্যকারী হইয়াছে। পূর্ববপুরুষদিগের মহিমা কীৰ্ত্তন এবং তঁহাদের কীৰ্ত্তিকাহিনী ংরক্ষণ পক্ষে ভারতবাসিগণ চির অভ্যস্ত । কুলাচাৰ্য্য ও ভট্টগণের রচিত কুলপঞ্জকায়, কবি এবং চারণদিগের গানে ও গাথায়, বিখ্যাত কুলসমূহের বিবরণ কালপরম্পরা রক্ষিত হইয়া আসিয়াছে। অৰ্দ্ধ শতাব্দী পূর্বেও দেখা গিয়াছে, প্রতিদিন সায়াহ্লে বালকদিগকে পূর্বপুরুষের গৌরব-কাহিনী শুনান এবং ধারাবাহিকভাবে তাহদের নাম কণ্ঠস্থ করান প্রত্যেক অভিভাবকের কৰ্ত্তব্য মধ্যে পরিগণিত ছিল । মুখে মুখে বংশ-পৰ্য্যায় রক্ষার পক্ষে এই প্রথা বিশেষ সহায়ক ছিল । ত্রিপুর রাজ-বংশাবলী আলোচনা করাই এ স্থলে মুখ্য উদ্দেশ্য। প্রাচীনকালে ra, , , anদ এই পরিবারের বংশ বিবরণ রক্ষার ভার, চতুর্দশ দেবতার পূজক ৰিযয়ক কপ। দণ্ডি-সমাজের হস্তে ছিল, পরে সভাসদ পণ্ডিতগণের উপর সেই ভার তাপিত হয়। দণ্ডিগণ পুরুষমুক্রমে বিশেষ সতর্কতার সহিত রাজস্যবর্গের বিবরণ রক্ষা করিতেন ; এই কারণেই চন্তাইর মুখ নিঃস্থত বিবরণ লইয়। রাজমালা রচিত হইয়াছে । পূর্ব হইতে এরূপ সুব্যবস্থা থকায়, রাজপরিবারের বংশ-পত্রিকা নির্ভরযোগ্য মনে করা যাইতে পারে। কিন্তু পৌরাণিক অংশ অতীতের কুহেলিকচ্ছন্ন বলিয়া, তাহার বিশুদ্ধতা সম্বন্ধে কোন কথা বলিবার উপায় নাই । সে কালের লোক দীর্ঘজীবী ছিল, অনেকে সহস্ৰ সহস্ৰ বৎসর জীবিত anuala, থাকিবার কথা শাস্ত্রগ্রন্থ আলোচনায় পাওয়া যায়। এরূপ সুদীর্ঘ বংশক।fহনী । জীবনলাভের যৌক্তিকতা দর্শাইবা পকে প্রথম লহরে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হইয়াছে । তখন সন্তান উৎপাদনও বৰ্ত্তমানকালের স্যায় অল্প বয়সে হইত না ; পুরুষের বাল্যবিবাহ প্রচলিত না থাকাই ইহার কারণ বলিয়া নির্দেশ করা যাইতে পারে । কস্যগণের বাল্যবিবাহও সকল সময় প্রচলিত ছিল না। এবম্বিধ

  • Journal of the Royal Asiatic Society—January, 1910.

ঘ o