পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

३ 8*४ ब्रांख्रमांकणी । [ दिडीौब्र তার পরে স্বপ্ন কুকি সব কাছে কয়। দেখিয়া শুনিয়া সবে পাইল প্রত্যয় ॥ বিষলতা সেই বনে প্রচুর হইল। খুচুঙ্গ কুকিয়ে বিষ ই কারণে পাইল ॥” ইত্যাদি। কৃষ্ণমালা—৪র্থ সৰ্গ । বিষলতার উৎপত্তি সম্বকীয় এই প্রবাদ বাক্য কাল্পনিক হইলেও বিলত কিন্তু কাল্পনিক পদার্থ নহে। ত্রিপুর, পর্বতের সর্বত্র এই লতা প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। আমরা এই লতা দেখিয়াছি এবং ইহার গুণ প্রত্যক্ষ করিয়াছি। প্রাচীন সংস্কার। ডাইনের কথা । ত্রিপুর রাজ্যে স্মরণাতীত কাল হইতে সাধারণের মধ্যে, ডাইন বা ডাইনী সম্বন্ধে একটা সংস্কার বদ্ধমূল রহিয়াছে। এই শব্দটী “ডাকিনী” শব্দের অপভ্রংশ। প্রাচীন কালে রাজা, প্রজা সকলেই ডাইনের অস্তিত্ব সম্বন্ধে দৃঢ় বিশ্বাস পোষণ করিতেন। মুসলমান সেনানায়ক হৈতন থাকে বধ করিবার নিমিত্ত ধন্যমাণিক্য ‘ধলাগমা’ নামী ডাকিনীকে আহবান করিয়া বলিয়াছিলেন ;— “আমার প্রজা খাও তোর ডাইন সব লোক । এখন না খাও কেন হৈতন খাঁ সন্মুখ ॥” शद्यमाशिका थ७-२७ श्रृं: । পুরুষ ও স্ত্রী উভয় শ্রেণীর প্রতিই ডাইন’ শব্দের আরোপ হইয়া থাকে। ত্রিপুর ভাষায় ডাইনকে ছেকাল’ বলে। লোকে মনে করে, ইহারা মমুন্যের অসাধ্য সকল কাৰ্য্যই করিতে পারে। নদীর স্রোত স্তস্তন, শূন্যপথে গমনাগমন, মন্ত্রবলে মমুন্যের জীবন সংহার করা ইত্যাদি ইহাদের পক্ষে অতি সহজ কাৰ্য্য। ইহার ইচ্ছ করিলে যে কোন ব্যক্তিকে দীর্ঘকাল রোগ যন্ত্রণ ভোগ করাইতে পারে এবং দৃষ্টিমাত্রেও বধ করিতে পারে। ভোজন কালে ইহাদের দৃষ্ট্ৰিপাত হইলে, ভোক্তার সঙ্কটাপন্ন পীড়া হওয়া অনিবাৰ্য্য। ডাইনের প্রতি লোকের এই সকল বিশ্বাস ত আছেই, তন্তিম আরও অনেক অদ্ভুত ধারণা দ্বারা ইহাদিগকে অধিকতর ভয়াবহ করা হইয়াছে। অন্ধ্রপ দুই একটা বদ্ধমূল সংস্কারের কথা নিম্নে উল্লেখ করা বাইতেছে ;— । * (১) রজনীযোগে ডাইনের মাড়ির দম্ভ মুখ হইতে বাহির হইয়া ইতস্ততঃ ৰিচরণ করে। সেই দস্ত হইতে নীলাভ অগ্নি প্রজ্জ্বলিত হইয়া থাকে। যদি কোন