পাতা:শ্রীরাজমালা (দ্বিতীয় লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গজমাল। দ্বিতীয় লহরে উল্লিখিত স্থান ইত্যাদির নাম ও সংক্ষিপ্ত বিবরণ। ( বর্ণমালাল্লক্রমিক ) { 零 আল্লারাম ;–(৪৩ পৃঃ—২৪ পংক্তি)। এই স্থান খাসিয়া পর্বতের অন্তর্গত। প্রাচীনকালে এখানে খাসিয়া রাজের সেনানিবাস (থানা) ছিল । ত্রিপুরেশ্বর বিজয়মাণিক্য দিগ্বিজয় কালে এই স্থান অধিকার এবং স্বীয় রাজ্যভুক্ত করেন । রাজমালায় পাওয়া যায় ;--- “আত্মারাম আদি যত থাসিয়া নৃপ থান । ত্রিপুরে জিনিয়া করে আপন সীমানা।” বিজয়মাণিক্য খণ্ড—৪৩ পৃষ্ঠা । আসাম ;–(২৪ পৃঃ—২৪ পংক্তি ) ৷ ইহা বাঙ্গালা দেশের উত্তর পূর্ব কোণে অবস্থিত । এই স্থাস তাহন জাতি র নামানুসারে আসাম নামে অভিহিত হইয়াছে । ইহার প্রাচীন নাম প্রাগজ্যোতিষ বা কামরূপ । পুরাকালে এই রাজ্যের বিস্তৃতি অনেক দূর পর্য্যন্ত ছিল । শাস্ত্রগ্রন্থে পাওয়া নায় ;– “করতোয়াং সমাশ্রিত্য সাবদিক্কর বাসিনী । উত্তরস্তাং কঞ্জগিরি করতোয়ান্তু, পশ্চিমে ৷ ভার্থশ্রেষ্ঠ দিজুনদী পূৰ্ব্বাস্তাং গিরিকন্তকে । দক্ষিণে ব্ৰহ্মপুত্রস্তু লাক্ষায়াঃ সঙ্গমাবধি । কামরূপ ইভিখ্যাতঃ সৰ্ব্বশাস্ত্রেযুনিশ্চিত: ” যোগিনী তন্ত্র । মৰ্ম্ম ;–করতোয় অবধি দিকরবাসিনী পৰ্য্যন্ত কামরূপ । ইহার উত্তরে কঞ্জগিরি, পশ্চিম সীমায় করতোয় নদী, পূৰ্ব্ব সীমায় তীর্থশ্রেষ্ঠ দিক্ষ নদী, দক্ষিণে ব্ৰহ্মপুত্র ও লক্ষ্যার সঙ্গমস্থান । এই সীমা সৰ্ব্বশাস্ত্রানুমোদিত এবং ইহার অন্তর্গত স্থান কামরূপ নামে বিখ্যাত । এতদ্বারা সে কালে, বৰ্ত্তমান আসাম, জলপাইগুড়ি, রঙ্গপুর এবং কোচবিহার প্রভৃতি প্রদেশ আসাম বা কামরূপের অন্তভূক্ত থাকা সূচিত হইতেছে। শাস্ত্রানুসারে তাসাম (কামরূপ) প্রসিদ্ধ তীর্থস্থান। এখানে পীঠদেবী কামাখ্যা ব্যতীত আরও কতিপয় পীঠ প্রতিষ্ঠিত আছে। কালিকাপুরাণ এবং যোগিনী তন্ত্র প্রভূতি গ্রন্থে তীর্থক্ষেত্রের বিস্তৃত দিবরণ পাওয়া যাইবে ।