পাতা:শ্রীরাজমালা (প্রথম লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(tle উদ্ধৃত শ্লোক সমূহে সন্নিবিষ্ট ত্রিপুর’ বা ত্রিপুরা’ শব্দ দেশ বাচক। এবম্বিধ শ্লোক আরও আছে, অধিক উদ্ধৃত করা নিম্প্রয়োজন। এই ত্রিপুরার অবস্থান সম্বন্ধে নানা ব্যক্তি নানা কথা বলিয়া থাকেন। কেহ বলেন, ইহা দক্ষিণাপথে অবস্থিত, কাহারও কাহারও মতে ইহার অবস্থান মধ্যভারতে। এই बिभूब्रॉब्र बराहांन ত্রিপুরা' শব্দ বৰ্ত্তমান ত্রিপুর রাজ্যের প্রতি প্রয়োগ করিতে Fi, , তাহারা অসম্মত । কিন্তু প্রাগ জ্যোতিষ, মেকল প্রভূতির সৰিত যে ত্রিপুরার নামেল্লেখ হইয়াছে, তাহাকে ত্রিপুর রাজ্য বলিয়া নির্দেশ করাই যুক্তিসঙ্গত। এবিষয় গ্রন্থভাগে আলোচিত হইয়াছে ॥৪ এস্থলে একটমাত্র প্রমাণের উল্লেখ করা আবশ্যক মনে হয়। ভবিষ্য পুরাণীয় ব্রহ্মখণ্ডে পাওয়া যায়,— "বরেন্দ্র তাম্রলিপ্তঞ্চ ছেড়ম্ব মণিপুরকম । ८णोश्ठिी *वभूतां ?5स झंझखांक्षाः श्लङ्गरुम् ॥ লৌহিত্য (ব্ৰহ্মপুত্র ) হেড়ম্ব, মণিপুর, জযস্ত ও সুসঙ্গের সহিত ত্রিপুরার নাম পাওয়া বাইতেছে । এই সকল স্থান ত্রিপুর রাজের অতি সন্নিহিত। এরূপ অবস্থায়ও কি শ্লোকোত্ত ত্রিপুরাকে দক্ষিণাত্যে বা মধ্যভারতে সংস্থিত বলা হইলে ? প্রকৃতপক্ষে এই শ্লোকের ত্রিপুর এবং মহাভারতোক্ত ত্রিপুরা যে অভিন্ন, নিবিষ্টচিত্তে আলোচনা করিলে সে বিষয়ে সন্দেহ থাকিবে না। এতদ্বারাও ত্রিপুব নামটার প্রাচীনত্ব সূচিত হইতেছে। বরাহ মিহির কৃত ‘বৃহৎ সংহিতায় যে ভৌগোলিক বিবরণ পাওয়া যায়, তাহাতেও ত্রিপুরা’ নামের উল্লেখ আছে। কেহ কেহ বলেন, এই বিবরণ পরাশরের গ্রন্থ হইতে সংগ্রহ করা হইয়াছে। পরাশর অতি প্রাচীন কালের ঋষি অদ্যাপি উহার আবির্ভাব কাল নির্ণীত হয় নাই । তিনি যে খ্রষ্টের পূর্বশতকে বর্তমান ছিলেন, ইহা অনেকে স্বীকার করিয়া থাকেন। Weber প্রমুখ প্রত্নতত্ত্ববিদগণ ও একথা মানিয়া লইয়াছেন।" এবং ঐতিহাসিক Kerm ইহার প্রাচীনত্বের বিস্তর প্রমাণ প্রদর্শন করিয়াছেন । B এই প্রাচীন ঋষির বাক্য অবলম্বন করিয়া • রাজমালা—১ম লম্বর, ১৬৯ וולי † Indioche Liter–P. 225. Kerm-Oeschichte—Vol. IV.