(ts রাজমালা [প্রথম হনুমান লাঞ্ছিত পতাকাও ত্রিপুর রাজচিহ্লের মধ্যে স্থান পাইয়াছে। ইহা চন্দ্রবংশীয় নৃপতিগণের একটা কৌলিক চিন্তু। অর্জনের হনুমান ধ্বজের কথা স্থানান্তরে উল্লেখ করা হইয়াছে। 鹽 ७ । मौन-मांनब ( मiङेगूझङ ) ইহাকে সাধারণতঃ ‘মাইমূরত’ বলা হয়। মাই—মৎস্য, এবং মুরত—মূৰ্ত্তি বা মানব । ইহার উদ্ধভাগ (কটিদেশ পৰ্য্যন্ত ) নারীমূৰ্ত্তি, এবং কটির নিম্নভাগ মীনাকৃতি। মানবাংশ সুবর্ণ ও মীনাংশ রজত নিৰ্ম্মিত। ইহাও রৌপ্য-দণ্ডের উপর স্থাপিত । এই চিকু মুসলমানগণের সময়ও ( মোগল শাসন কালে ) ব্যবহৃত হইত ; সয়ের-উল-মুতাকুখরিনে ইহার উল্লেখ পাওয়া যায়। মুসলমানগণ এতজ্জাতীয় চিত্বকে 'মাহীমারিতিব ? বলিত । অন্য কোন কোন জাতির মধ্যেও ইহার ব্যবহারের নিদর্শন বিরল নহে তাহাদের মধ্যে এই চিন্তু বিশেষ সম্মানের নিদর্শন স্বরূপ ব্যবহৃত হইত। ত্রিপুর রাজ্যে এই চিন্তু জল দেবীর (গঙ্গার) প্রতিমূৰ্ত্তি রূপে ব্যবহৃত হইয়া থাকে। এই মুৰ্ত্তির দক্ষিণ হস্ত একট পতাকা সমন্বিত। প্রকৃতিপুঞ্জের নিকট রাজধৰ্ম্মের পবিত্রতা ঘোষণা করাই এই পবিত্রতাময়ী গঙ্গামূৰ্ত্তি ধারণের মুখ্য উদ্দেশ্য। এই চিন্তু ছত্রতুইয়া সম্প্রদায় কর্তৃক সিংহাসনের দক্ষিণ পার্শ্বে ধৃত হয়। অধ্যাপক শ্ৰীযুত অমূল্যচরণ বিদ্যাভূষণ মহাশয় ত্রিপুরার রাজ চিহ্লের বিবরণে, মুসলমানদিগের প্রদত্ত নামানুসারে অথবা Steingass এর উক্তিমতে এই চিত্বের নাম ‘মাহীমারতিব ? করিয়াছেন । এবং এতদুপলক্ষে তিনি বলিয়াছেন,— ‘‘अलिकड cगt८कब्र हश८क ‘मtशैभब्राउ’ व ‘बाहे मब्रांठ' अथवा ७lबनकि ‘माहेभूब्रउ' পর্য্যন্ত বলিয়া থাকে ” প্রকৃতপক্ষে মাহীমরাত’ বা ‘মাইমরাত কেহ বলে না, এই নাম অমূল্য বাবু কোথায় পাইয়াছেন, অবগত নহি । এই চিন্তু ত্রিপুরায় “মাহীমূরত” বা “মাইমুরত" নামে পরিচিত, এবং শিক্ষিত অশিক্ষিত সকলেই তাহা বলিয়া থাকে । ‘মাই’ বা ‘মাই’—শব্দ দ্বারা মৎস্তকে বুঝায়। বিদ্যাভূষণ মহাশয়, মৎস্যজীবী সম্প্রদায় বিশেষের ‘মাইফরাস’ বা ‘মাহীমাল ইত্যাদি কৌলিক উপাধির কথা, অথবা মৎস্য ধৃত বিষয়ক মহালের “মাই-মহাল" নামের কথা বিস্কৃত হইতে পারেন, কিন্তু ব্যক্তি ৰা, মমুয্যকে যে “মুরত’ বলা হয়, তাছা ন জানিবার বিষয় নহে। এরূপ অবস্থায় অৰ্দ্ধনারী ও অৰ্দ্ধ মীনাকৃতি চিচুকে ‘মাইমুরত’ বা 'মাহীমূরত’ বলিলেই লোককে ।
