পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৩০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ । AFS) ভক্টলেণ্ড সূক্ষ্মবিজ্ঞানেৰ সিদ্ধাজিত সত্য। শাস্ত্রকারগণ এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদৃষ্ট কীটবিশেষের দেহান্তর-প্ৰাপ্তির দৃষ্টাম্ভের উল্লেখ করিয়াছেন। ভাবনানুরূপ দেহ প্ৰাপ্তি,-দৰ্শন-বিজ্ঞানসন্মত । শ্ৰীবাসপঞ্চাধ্যায়েও লিখিত হইয়াছে :- অন্তগুহাগতঃকাশ্চিদ গোপ্যোইলন্ধবিনিৰ্গমাঃ । কৃষ্ণং তদ্ভাবনাযুক্ত দধূৰ্মিলিতলোচনাঃ ॥ দুঃসহ প্ৰেষ্ঠবিরহতীব্রতাপাধুতাশুভাঃ । ধ্যানপ্রাপ্তচু্যতাশ্লেষনিবৃত্যা ক্ষীণমঙ্গলাঃ ॥ তমোব পরমাত্মানং জারবুদ্ধ্যাপি সঙ্গতঃ { জহুগুণময়ং দেহং সদ্যঃ প্ৰক্ষীণবন্ধনঃ ॥ প্ৰগাছ ধ্যানফলে এক শ্রেণীর গোপী গুণময় দেহ ত্যাগ করিয়া আনন্দময় দেহ লাভ করিলেন এবং তদেহে শ্ৰীকৃষ্ণসঙ্গ প্ৰাপ্ত হইলেন, এই বচনগুলি তাহারই প্ৰমাণ। মহাকুৰ্ম্মপুরাণেও লিখিত আছে :- অগ্নিপুত্ৰ মহাত্মান স্তপসা স্ত্রীত্বমাপিারে। ভৰ্ত্তারঞ্চ জগদযোনিং বাসুদেবমজং বিভুম। অর্থাৎ মহানুভাৰ অগ্নিপুত্ৰগণ তপস্তাপ্ৰভাবে স্ত্রীত্বলাভ করিয়া অজ, বিভু এবং জগৎযোনি বাসুদেবকে ভর্তৃভাবে প্ৰাপ্ত হইয়াছিলেন। ফলতঃ সিদ্ধদেহ প্ৰাপ্তি ব্যতীত শ্ৰীৱক্ষকের মধুৱসেবায় অধিকার জন্মে না। কুঞ্জসেবার অধিকার লাভ করিতে হইলে কামানুগ ভক্তিই উহার একমাত্ৰ সাধন । সাধকদেহ বা যথাবিস্থিত দেহের বিদ্যমানতাতেও বাসনাময় সিদ্ধ দেহ দ্বারা শ্ৰীভগবানের মধুর লীলা-ক্ষেত্রে প্রবেশপথ পাওয়া যাইতে পাঙ্গে। আবার দণ্ডকারণ্যবাসী মহাবিদের স্থায় সাধকদেহ একাধারে, পরিতাশ্ব করিয়া নিত্যসিদ্ধ দেহখণ্ড লাভ করা যাইতে পায়ে। র্যাহাজ খোরাপ সাধনের কল, তিনি সেইরূপ ফললাজ করেন ।