তৃতীয় পরিচ্ছেদ । * ৩। কৃষ্ণতত্ত্বাভিজ্ঞত্ব যৌকত উচ্চাধিকার, ইহাতে তাহাও অভিব্যক্তি হইয়াছে। প্ৰভু লোকাপেক্ষী ত্যাগ করেন নাই। তথাপি শূদ্র যদি কৃষ্ণতত্ত্ববেত্তা হয়েন, তীহাকেও গুরু বলিয়া গ্ৰহণ করিতে বিধি দিয়া গিয়াছেন। শূদ্র শিক্ষাগুরু হইতে পারেন, কিন্তু দীক্ষাগুরু হইতে পারেন। না, এই কথা বলিয়া বৰ্ণাশ্রমপ্রাধান্য-পরিকীৰ্ত্তনের প্রয়োজন নাই । কেননা প্ৰভু কৃষ্ণতত্ত্ববেত্তা শূদ্রের কথাই বলিয়াছেন। বলা বাহুল্য শূদ্ৰকুলে জন্মগ্রহণ করিয়াও যিনি কৃষ্ণতত্ত্ববেত্তা, তাহার জন্মনিবন্ধনবৰ্ণাশ্ৰমধৰ্ম্ম ত হইয়া যায়। মহাসাগরে নিশিয়া গেলে নদীর যেমন নামরূপ থাকে না, কৃষ্ণ-প্রেনসাগরে প্রবেশ করিলে মহৎ ক্ষুদ্র ব্ৰাহ্মণ শূদ্ৰ বৰ্ণবিচার মাত্রও থাকিতে পারে না। নিরূপাৰি কৃষ্ণপ্রেমে স্ত্রীপুরুষ, মহৎ ক্ষুদ্র, ব্ৰাহ্মণ শূদ্র প্রভৃতি অনন্ত ভেদবুদ্ধি একবারেই নিরস্ত হইয়া যায়। মহাপ্ৰভু এস্থলে ব্ৰাহ্মণ বা শূদ্রের নিকট মন্ত্র লাইতে বলেন নাই, “কৃষ্ণতত্ত্ববেত্তাকেই” গুরু বলিয়া স্বীকার করিতে বলিয়াছেন। বলা বাহুল্য তাদৃশ নিরুপাধি প্রেমসাগরে যদি কেহ মজ্জিত হইয়া থাকেন, নিরুপাধি কৃষ্ণপ্রেমে ডুবিয়া যদি কেহ সাংসারিক সৰ্ব্বেপাধি বিনিৰ্ম্মক্ত হইয়া থাকেন, তবে তাদৃশ তথাগতকে উপাধিযুক্ত করিয়া অভিহিত করাও অপরাধজনক। এখানে প্ৰভু কৃষ্ণতত্ত্বাভিজ্ঞতারই উৎকর্ষ কীৰ্ত্তন করিয়া মায়াবান্দময় সন্ন্যাসধৰ্ম্মের খৰ্ব্বত প্ৰদৰ্শন করিলেন। শ্ৰীচরিতামৃতে অপর স্থলেও লিখিত আছে- 鲁 মায়াবাদীর সন্ন্যাসীদের করিতে গৰ্ব্বনাশ । নীচ শূদ্র দ্বারায় কৈল ধৰ্ম্মের প্রকাশ ॥ ৪। ইহাও হইতে পারে যে প্রভুর সহিত রামর্যায়ের যখন এই সকল আলােপরম্ভ হয়, তখন রামরায় প্রভুকে মায়াক্সদী সন্ন্যাসী বলিয়াই মনে করিয়াছিলেন, সুতরাং প্রেমতত্বের নিগুঢ় কখt. মহসী আঁহার নিকট প্ৰকাশ করিতে সম্বোচিত হইতেছিলেন। আই প্ৰভু আঁহারই মনোন্ধীক্ষাৰ