শ্ৰীশ্ৰীগৌরহন্দির وO নিত্যানন্দের কথা শুনিয়া প্ৰভু সন্তুষ্ট হইলেন এবং ক্রমে ক্রমে প্ৰায় সকল ভক্তকেই নিজের অভিপ্ৰায় জানাইলেন । যিনি শুনিলেন, তিনিই কাতর হইলেন, কেহই কিছু বলিতে সাহস করিলেন না। তবে, প্ৰায় সকলেই শচীদেবীর দুঃখের কথা উত্থাপন করিয়া প্ৰভুকে অস্থতঃ কিছুদিনের নিমিত্ত সন্ন্যাস গ্রহণে নিষেধ করিতে লাগিলেন। তঁহাদের নিষেধ কিন্তু ফলবান হইল না। প্রভুর মতের পরিবর্তন হইল না । সন্ন্যাস গ্রহণই সুস্থির হইল। শচীমাতারা প্ৰবোধ শচীদেবী লোকমুখে পুত্রের সন্ন্যাসের কথা শুনিয়া অধীর হইলেন। পরে পুত্রের নিকট যাইয়া বলিলেন, “বিশ্বম্ভৰু, শুনিতেছি, তুমি নাকি সন্ন্যাসী হইবে ? তুমি আমার একমাত্র পুত্র, অন্ধের চক্ষু। তোমাকে না দেখিলে, আমি ত্ৰিভুবন অন্ধকারময় দেখি। ... তুমি আমার নয়নের তারা, কুলের প্রদীপ। তুমি BBBDBDD DBBB DBB DDD DDD DDSS SDBDBBD D LBBBS DBDB সংসার অরণ্যময় দেখিয়া থাকি । তোমাকে ছাড়িয়া আমি কি প্রকারে জীবন ধারণ করিব ? তোমার আদর্শনে এই বধু বিষ্ণুপ্রিয়া ও তোমার নিজ জন সকলের দশা কি হইবে ভাবিয়া দেখ । তোমার এই তরুণ বয়স কি সন্ন্যাসের উপযুক্ত ? তুমি সন্ন্যাস করিও না, গৃহস্থাশ্রমে থাকিয়া ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম কর।” এই কথা বলিতে বলিতে শচীদেবী রোদন করিতে লাগিলেন । শোকে ও দুঃখে৷ কণ্ঠ রুদ্ধ হইয়া আসিল, আর কিছুই বলিতে পারিলেন না। তখন শ্ৰীগৌরাঙ্গ বলিলেন, “মাতঃ, আমার কথা শুন, মনকে প্ৰবােধ দাও, কাতর হইও না। অভিমান ত্যাগ কর। এ সংসারে কে কার পুত্র, কে কার পিতা বা মাতা ? শ্ৰীকৃষ্ণের স্মরণ ব্যতিরেকে কাহার ও গতি নাই জানিবে । শ্ৰীকৃষ্ণই জীবের মাতা পিতা ও পুত্র। তিনিই জীবের ভাই বন্ধু ও প্রিয়জন। তিনি ভিন্ন আর সকলই মিথ্যা, সকলই অসার ; তিনিই একমাত্র সারা বস্তু। লোক সকল বিষ্ণুমায়ায় মোহিত হইয়া ইহকাল পরকাল দুইকালই নষ্ট করিতেছে। জননি, পুত্ৰজ্ঞান ত্যাগ কর, শ্ৰীকৃষ্ণচরণ ভজন কর। এই দুলা ভ মানবজন্ম লাভ করিয়া যে শ্ৰীকৃষ্ণ ভজন না করে, তার জন্মই বিফল হয়।” পুত্রের কথা শুনিতে শুনিতে শচীদেবীর দিব্যজ্ঞানের উদয় হইল। তিনি পুত্রের মুখপানে চাহিয়া সংসার ভুলিলেন। তাহার শ্ৰীগৌরাঙ্গে পুত্ৰজ্ঞান তিরোহিত হইল। শ্ৰীবৃন্দাবনে
