ֆԳՀ ॐीबैीtशौद्रश्न्लन দেখিয়া প্ৰহার করিতে উদ্যত হইল। দৈবযোগে ঐ স্থানে সার্বভৌম ভট্টাচাৰ্য্য উপস্থিত ছিলেন। তিনি জগন্নাথকে দর্শন করিতে করিতে হঠাৎ দেখিলেন, একজন নবীন সন্ন্যাসী আসিয়া জগন্নাথ দেবের সন্মুখে প্ৰেমমূৰ্ছা প্রাপ্ত হইলেন, এবং প্ৰহারিগণ র্তাহাকে প্ৰহার করিতে উদ্যত হইল। তদর্শনে তিনি প্রহরীদিগের নিকটে যাইয় তাহাদিগকে প্ৰহার করিতে নিষেধ করিলেন। পরে ঐ নবীনসন্ন্যাসীর অদ্ভূত অশ্রু, কম্প ও পুলকাদি সাত্ত্বিকবিকার সকল দেখিতে লাগিলেন। তিনি প্রভুর ঐ সকল অদ্ভুত প্ৰেমবিকার নিরীক্ষণ করিয়া অতিশয় বিস্ময়াবিষ্ট হইলেন । দেখিতে দেখিতে অনেকক্ষণ চলিয়া গেল, জগন্নাথদেবের ভোগের কাল উপস্থিত হইল, কিন্তু নবীনসন্ন্যাসীর চৈতন্যোদয় হইল না। তখন সার্বভৌম ভট্টাচাৰ্য্য মনে মনে উপায় চিন্তা করিয়া প্রহরীদিগের সাহায্যে প্রভুকে নিজের আলয়ে লইয়া গেলেন। তিনি বাটীতে আসিয়া প্রভুকে একটি পবিত্র নির্জন স্থানে শয়ন করাইলেন। তখনও প্রভুর চৈতন্যোদয় লক্ষিত হইল না। ভট্টাচাৰ্য্য দেখিলেন, সন্ন্যাসীর উদর স্পন্দিত হইতেছে না, শ্বাসপ্ৰশ্বাসেরও কোন লক্ষণ দৃষ্ট হইতেছে না। তিনি সন্ন্যাসীর শ্বাসপ্রশ্বাসের লক্ষণ না দেখিয়া সন্দিগ্ধচিত্তে নাসা গ্রে তুলা ধরিলেন। তুলাটুকু ঈষৎ চলিতে দেখা গেল। তদর্শনে ভট্টাচাৰ্য্য কিঞ্চিৎ আশ্বস্ত হইলেন। মনে মনে ভাবিলেন, এরূপ অদ্ভুত বিকার ত আর কখন দেখি নাই। শাস্ত্রে যে সুদীপ্ত সাত্ত্বিক ভাবের লক্ষণ দেখা যায়, এই সন্ন্যাসীর সেই লক্ষণই দৃষ্ট হইতেছে। 德. ञ्तार्द्धटड्कोक्राशिव्नन् । এই সময়ে নিত্যানন্দ প্ৰভৃতি প্রভুর সঙ্গিগণ আসিয়া জগন্নাথদেবের সিংহদ্বারে উপনীত হইলেন। তঁহারা সিংহদ্বারে আসিয়াই লোকমুখে শুনিলেন, আজ এক নবীন সন্ন্যাসী জগন্নাথের মন্দিরে আসিয়া মুচ্ছিত হইয়া পড়িয়াছিলেন, সার্বভৌম ভট্টাচাৰ্য্য তঁহাকে নিজভবনে লইয়া গিয়াছেন। নিত্যানন্দাদি প্রভুর সন্দিগণ শুনিয়াই বুঝিলেন, এই নবীন সন্ন্যাসী আর কেহ নহেন, শ্ৰীমন্মহাপ্ৰভুই। অনন্তর তীহারা সার্বভৌম ভট্টাচাৰ্য্যের ভবনেই যাইবার মনস্থ করিলেন। সার্বভৌম ভট্টাচাৰ্য্য বঙ্গদেশীয়। ইহঁর নাম বাসুদেব এবং জন্মস্থান নবদ্বীপ। ইনি নবদ্বীপের মহেশ্বর বিশারদের পুত্র। ইনিই মিথিলা হইতে নব্যন্যায় কণ্ঠে 3.
