說 - 溺 মধ্য । ৬ আরিচ্ছেদ। শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত । Rరలి নত। ১২১ ৷ মণি যৈছে অবিকৃত প্রসবে হেমন্ডার। জগন্ধ্ৰপ হয় ঈশ্বর তবু অবিকার ॥ ১২২ ৷ ব্যাসন্দ্রান্ত বলি সেই সূত্রে দোষ দিঞা । বিবৰ্ত্তবাদ ; স্থাপিয়াছে কল্পনা করিঞ ॥ ১২৩. জীবের জগৎ রূপে পরিণত হইয়াছেন ॥ ১২১ ৷ মণি যেমন অবিকৃত ভাবে থাকিয়া স্বর্ণভার প্রসব করে, ঈশ্বর জগদ্রপী ছুইয়াও তথাপি অবিকৃত থাকেন ॥ ৬২২ ॥ । বৌদ্ধগণ ব্যাস ভ্রান্ত হইয়াছেন বলিয়া সেই সূত্রে দোষারোপ করত দোষ দিয়া বিবৰ্ত্তবাদ স্থাপন করিয়াছেন ॥ ১২৩ ৷ জীবের দেহে যে আত্ম বুদ্ধি, অহাই মিথ্য, জগৎ মিথ্যা নহে পদার্থ উৎপন্ন হয় সেই বস্তুই উৎপন্ন পদার্থের পরিণামী উপাদান কারণ। যেমন দুগ্ধের পরিণাম দধি,মৃত্তিকর পরিগ্রাম ঘট এবং সুবর্ণের পরিণাম কুণ্ডৰ। এস্থলে দধির পরিণুমী উপাদান দুগ্ধ ঘটের পরিণামী উপাদান স্মৃত্তিক এবং কুণ্ডলের পরিণামী উপাদান সুবর্ণ। - + বিবৰ্ত্তবাদ। . . • ঐ পঞ্চদশীয় ১৩ পরিচ্ছেদের ব্রহ্মনিন্দে অদ্বৈতীনন্দ প্রকরণে ৯ । ১০ শ্লোকে যথা ॥ অবস্থান্তর ভানন্তু বিবর্তে কুন্তু সর্পবৎ। -নিরংশে হপ্যস্ত্যসে ব্যোয়ি তলম লিন্য কল্পনাৎ ॥ ততো নিরংশ আনন্দে বিবৰ্ত্তে জগদ্বুিধ্যতাং ! মায়া শক্তি কল্লিক। স্যাদৈন্দ্রজালিক শক্তিবং ॥ _ অস্ত{ৰ্থঃ- বস্তুর অবস্থান্তর না হইলে ও যে অবস্থঃস্তর প্রাপ্তির ন্যায় প্রতীতি হয়, তাহাকেই বিবৰ্ত্ত বলা যায়। যে বস্তুতে অবস্থান্তর ভীন হয়, তাহাকেই বিবৰ্ত্ত উপাদান কারণ বলিয়৷ থাকে। য়েন রঙ্গুতে সর্পজ্ঞান হয়, এন্থলে রজ্জর কোন অবস্থান্তর হয় ন। কিন্তু তথাপি সেই রঙ্ক কে সর্পবং প্রতীয়মান হয় অতএব এস্থলে রজ্জ ই সৰ্প জ্ঞানের বিবৰ্ত্ত উপাদান কারণ জানিবে। উক্ত রূপ বিবৰ্ত্ত উপাদান কারণত নিরবুয়ব পদার্থে৪ সস্তবিতে পারে। যেমন "আকাশে মলিনতা”। বাস্তবিক আকাশ মলিন নছে তথাপি আকাশ মলিন বলিয়া বোধ হয়। এস্থানে যেমন নিরাকার আকাশ বিবৰ্ত্ত কারণ, সেইরূপ নিরবয়ব আনন্দ স্বরূপকে এই জগতের বিবৰ্ত্ত উপাদান কারণ বলিয়া স্বীকার করা যায়। যেমন ঐন্দ্রজালিক শক্তি বাহ পদার্থের রূপান্তর কল্পনা করে, সেইরূপ মায়া শক্তি | সেই বিবৰ্ত্ত উপাদানের কারণ রূপ আনন্দ স্বরূপের রূপান্তর কল্পনা করিয়া থাকে।
