পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত - মধ্যলীলা.pdf/৭৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

游 মধ্য। ১৮ পরিচ্ছেদ। শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত। లి লোক কহে তোমাতে কতু নহে জীব মতি । কৃষ্ণের সদৃশ তোমার অকৃতি প্রকৃতি ॥ অীকৃতে তোমাকে দেখি ব্রজেন্দ্রনন্দন ৷ দেহকাস্তি পীতাম্বর কৈলে আচ্ছাদন ॥ মৃগমদ বস্ত্রে বান্ধি তবু না লুকায় । ঈশ্বর প্রভাব তোমার ঢাকা নাহি যায়৷ . অলৌকিক শক্তি তোমার বুদ্ধি অগোচর। তোম। দেখি কৃষ্ণপ্রেমে জগৎ পাগল ৷ স্ত্রী বাল বৃদ্ধ কিবা চণ্ডাল যবন। যেই তোমার এক বার পায় দরশন। কৃষ্ণনাম লয় নাচে হয় উন্মত্ত । আচাৰ্য্য হইল সেই তুরিল জগত ॥ ৪২ ॥ দর্শনের কাৰ্য্য আছুক যে তোমার নাম শুনে। সেহে কৃষ্ণপ্রেমে মত্ত তারে ত্রিভুবনে ॥ তোমার নাম শুনি হয় শ্বপচ পাবন । অলৌকিক শক্তি তোমার না যায় কথন || ৪৪ অনন্তর লোক সকল কহিতে লাগিল ত্বাপনার প্রতি কখন জীব বুদ্ধি হইতেছে না, আপনার কৃষ্ণ সদৃশ আকৃতি,প্রকৃতি । আকৃতিতে আপনাকে ব্রজেন্দ্রনন্দন রূপে দর্শন করিতেছি, আপনি দেহকান্তি ও পীতাম্বর গোপন করিয়াছেন, মৃগমদকে বস্ত্রে বন্ধন করিয়া রাখিলে সে যেমন কখন গুপ্ত হয় না,তদ্রুপ আপনার ঈশ্বর প্রভাব অচ্ছাদন করা, যায় না, আপনার অলৌকিক শক্তি বুদ্ধির গম্য হয় না, আপনাকে দেখিয়া জগৎ প্রেমে উন্মত্ত হইতৃেছে, কি স্ত্রী, কি বালক কি বৃদ্ধ, কি চণ্ডাল, কি যবন, যে ব্যক্তি একবার মাত্র আপনকার দর্শন প্রাপ্ত হয়, সেই ব্যক্তি কৃষ্ণনাম লয়, নৃত্য করে, উন্মত্ত হয় এবং সে আচাৰ্য্য হইল ও সে জগৎকে নিস্তার কন্ধিল ॥ ৪২ ৷ দর্শনের কার্য্য থাকুক, যে ব্যক্তি আপনকার নাম শ্রবণ করে, সে ব্যক্তিও কৃষ্ণপ্রেমে মত্ত হয় এবং ত্রিভুবনকে উদ্ধার করে। আপনুকার নাম শুনিয়া চণ্ডাল পবিত্র হয়, অতএব আপনকার অলৌকিক শক্তি, তাহা কখন বাক্যের গোচর হয় ন ॥ ৪৩।