পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত - মধ্যলীলা.pdf/৯০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

br述や3 - স্ত্রীচৈতন্যচরিতামৃত। মধ্য। ২১ পরিচ্ছেদ । হয় অবধূত “কৃষ্ণবংসৈরসংখ্যাচ্চৈঃ” শুকদেব বাণী । কৃষ্ণসঙ্গে কত গোপ সংখ্যা নাহি জুনি ॥ এক এক গোপু করে যে বংগ চারণ। কোট্যৰ্ব্ব শখ পদ্ম তাহার গণন। বেত্ৰ বেণু দল শৃঙ্গ বস্ত্ৰ অলঙ্কার। গোপগণের যত তার নাহি লেখা পার ॥ সবে হৈলা চতুভুজ বৈকুণ্ঠের পতি । পৃথক পৃথক ব্রহ্মাণ্ডের ব্রহ্ম করে স্তুতি ॥ এক কৃষ্ণ দেহ হৈতে সবার প্রকাশে । ক্ষণেকে সবাই সেই শরীরে প্রবেশে ॥ ১২ ॥ ইহা দেখি ব্ৰহ্ম হৈল মোহিত বিস্মিত । স্তুতি করি এই পাছে করিলা নিশ্চিত ॥ যে কহে কৃষ্ণের বৈভব মুঞি সব জানো । সে জামুক কায়মনে মুঞি নাহি মানে ॥ এই যে তোমার অনন্ত বৈভবtমৃতসিন্ধু । মোর বাঙানো-গম্য নহে তার এক বিন্দু ॥ ১৩। কৃষ্ণের } সৈরসংখ্যাতৈঃ” এই যে শুকদেবের বাক্য আছে, ইহাতে ক্রীকৃষ্ণের ! সঙ্গে যে কত গোপ তাহীর সংখ্যা জানিতে পারা যায় না, এক এক গোপে যত বৎস চারণ করে, কোটি, অৰ্ব্ব দ্র, শখ ও পদ্ম তাহার গণনা হয়। বেত্র, বেণু, দল, শৃঙ্গ, বস্ত্র ও অলঙ্কার গোপগণের যত আছে তাহার লেখার অন্ত নাই। তৎসমুদায় চতুভূজ ও বৈকুণ্ঠের পতি হইলেন। পৃথক পৃথক ব্রহ্মাণ্ডের পতি তাহাদিগকে স্তুতি করেন। এক কৃষ্ণদেহ হইতে সেই সকলের প্রকাশ হয়, পুনৰ্ব্বার তাহীরা সকল ক্ষণকালের মধ্যে শ্রীকৃষ্ণের শরীরে প্রবেশ করেন ॥১২ ॥ ইহা দেখিয়া ব্ৰহ্মা মোহিত ও বিস্মিত হইয়া স্তুতি করত পশ্চাৎ এই নিশ্চয় করিলেন, যে বলে স্ত্রীকৃষ্ণের বৈভব সকল আমি জানি, সে জামুক, আমি কয় মনোবাক্যে ইহাই মানিয়! থাকি । এই যে তোমার মনস্তবৈজ্ঞবরূপ অমৃত সমুদ্র,তাহার এক বিন্দুমাত্র জামার ৰাক্য মনের গম্য নহে। ১৩ । 姆 ·歇