পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত - বৃন্দাবন দাস ঠাকুর .pdf/৮৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ხzპ98 “কৃষ্ণরে প্রভুরে আরো কৃষ্ণ মোর বাপা!” বলিয়া রোদন করে সর্ব-জীব-নাথ ॥৮০৷৷ হেন সে ডাকিয়া কাব্দে অ্যাসিচুড়ামণি। ক্রোশেকের পথ যায় রোদনের ধবনি ৷৷৮১৷৷ কথো-দুরে থাকিয়া সকল ভক্তগণ। শুনেন প্রভুর অতি অদ্ভুত রোদন ॥৮২৷৷ ভক্তগণের প্রভু আবিষ্কার-- চলিলেন সবে রোদনের অনুসারে। দেখিলেন সবে প্ৰভু কান্দো উচ্চৈঃস্বরে ॥৮৩৷৷ মুকুন্দের কীৰ্ত্তনপ্রভুর রোদনে কাব্দে সর্ব ভক্তগণ। মুকুন্দ লাগিলা। তবে করিতে কীৰ্ত্তন৷৷৮৪৷৷ শুনিয়া কীৰ্ত্তন প্ৰভু লাগিলা লাচিতে। আনন্দে গায়েন সবে বেড়ি’ চারি ভিতে ॥৮৫৷৷ এই মতে সর্ব-পথে নাচিয়া নাচিয়া। * যায়েন পশ্চিম-মুখে আনন্দিত হঞা ॥৮৬৷৷ বক্ৰেশ্বর পৌছিবার মাত্র চারি ক্রোশ থাকিতে প্ৰভুর গতি পরিবর্তন ক্ৰোশ-চারি সকলে আছেন বক্ৰেশ্বর। সেই স্থানে ফিরিলেন গৌরাঙ্গ-সুন্দর ॥৮৭৷৷ শ্ৰীগৌবসুন্দর রাঢ়দেশেব এক সৌভাগ্যপূর্ণ গ্রামে বাস করিয়া বান্ত্র্যিান্তে গ্রামেব প্রান্তভাগে গমনপূর্বক কৃষ্ণবিরহকাতরতা প্ৰদৰ্শন কবিতে লাগিলেন। কৃষ্ণই অখিল রাসামৃতসিন্ধু ; সুতবাং সকল বসের একমাত্র বিষয়। শ্ৰীগৌবসুন্দব স্বয়ংরূপ কৃষ্ণচন্দ্র হওয়ায় সর্বপ্রকাব বসেব আশ্ৰয়-লীলাব অভিনয় কবিতে পারেন ; তজ্জন্য দাস্যলীলা প্ৰকটনে কৃষ্ণকে ‘প্ৰভু বলিয়া তাহাব সম্বোধন, বৎসল-রাসে কৃষ্ণকে ‘বালগোপাল’ বলিয়া ওঁঠুর সম্বোধন এবং স্বীয় সেবা-চেষ্টা-জ্ঞাপক বেদন-বিশ্নতি জীবকুলের শিক্ষার বিভিন্ন স্তর ॥ ৮০ ৷৷ “আরো স্থানে ‘ওরে’, ‘মোর’ স্থানে ‘ওরে’, ‘বলিযা রোদন করে সর্বজীব-নাথ’ পাঠান্তবে ‘বলি সর্বজীব-নাথ করেন প্ৰলাপ’ ! ৮০ ৷৷ Atsvtv নাচিয়া যায়েন প্ৰভু পশ্চিমাভিমুখে। སོ- ༢༡ হইলেন নিজ-সুখে৷৷৮৮৷৷ পশ্চিমাভিমুখ হইতে পূৰ্বাভিমুখে গতি পরিবর্তনপুর্ব মুখে চলিয়া যায়েন নৃত্য-রাসে। অনন্ত আনন্দে প্ৰভু অট্ট আট হাসে৷৷৮৯৷৷ বাহু প্রকাশিয়া প্ৰভু নিজ-কুতুহলে। বলিলেন,-“আমি চলিলাঙ নীলাচলে ॥৯০৷৷ জগন্নাথ প্রভুর হইল আজ্ঞা মোরে। “নীলাচলে তুমি ঝাট আইস সত্বরে ॥”৯১৷৷ এত বলি’ চলিলেন হই পূর্ব-মুখ। ভক্ত সব পাইলেন পরানন্দ-সুখ৷৷৯২৷৷ ভান ইচ্ছা তিহেঁ সে জানেন সবে মাত্র। তান অনুগ্ৰহে জানে তান কৃপা-পাত্ৰ৷৷৯৩৷৷ কি ইচ্ছায় চলিলেন বক্ৰেশ্বর-প্ৰতি। কেনে বা না গেলা, বুঝে কাহার শকতি ॥৯৪৷৷ বক্রেশ্বর গমনেব ছলে রাঢ়ন্দেশ কৃতার্থকরণ--- হেন বুঝি করি’ প্ৰভু বক্রেশ্বর-ব্যাজ । ধন্য করিলেন সর্ব রাঢ়ের সমাজ ॥৯৫৷৷ গঙ্গাভিমুখেগঙ্গা-মুখ হইয়া চলিলা গৌরচন্দ্ৰ। নিরবধি দেহে নিজ প্রেমের আনন্দ ॥৯৩৷৷ 'ক্রোশোকের” পাঠান্তরে ‘ক্রোশ এক” ৷৷ ৮১ ৷৷ “প্ৰভু পাঠান্তরে “পুন’ ৷৷ ৮৮ ৷ 'उन्नरु' °स्रु 'उस्रु' ॥ ४० ॥ বক্ৰেশ্বরেব চাবি ক্রোশ ব্যবধান থাকিতে মহাপ্ৰভু র্তাহাব বক্ৰেশ্বর যাইবাব চিত্তবৃত্তি পরিবর্তন কবিয়া শ্ৰীনীলাচল পতিব নিকট যাইবার অতিপ্ৰায্য করিলেন । তজন্য কাটোয়া হইতে পশ্চিমদিকে যাইবার পরিবৰ্ত্তে পূৰ্বৰূখ হইয়া চলিতে লাগিলেন ৷৷ ৯০ ৷৷ প্ৰেমভক্তিবাহিত কঠিন হৃদয় বাঢ়দেশবাসিগণের চিত্তে প্ৰেম-বর্ষণের অভিপ্ৰায়ে মহাপ্ৰভু বাঢ়দেশে ভ্রমণ-ছলনা করিয়াছিলেন। শুষ্কন্ধদয় মায়াবাদিগণ নির্বিশেষ বিচার অবলম্বন কাবায় বক্ৰেশ্বরের আনুগত্য-ছলনা করেন। শ্ৰীগৌরসুন্দর সেই নিব্বিশেষবাদী সন্ন্যাসিগণের ব্রিচারের অনুমোদন