পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল.djvu/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্দিকে বেদধ্বনি করয়ে ব্রাহ্মণ। শঙ্খ মৃদঙ্গ বাজে—মঙ্গল লক্ষণ ॥ ১০ ॥ দীপ-মালা-পতাকা-ভূষিত দিগন্তরে। সুগন্ধি-চন্দন, মালা অতি মলোহরে ॥ ১১ ॥ সকল ব্রাহ্মণে প্রভুর কৈল অধিবাস। কোটি-কামরূপ দেহ কৈল পরকাশ ॥১২ ৷ ঝলমল করে অঙ্গ-ছটা আলোকিত। দেখিয়া ব্রাহ্মণ সব ভেল চমকিত ॥ ১৩ ॥ সুগন্ধি-চন্দন মালা ব্রাহ্মণেরে দিল । ঘন ঘন তাম্বুলদানে বড় তুষ্ট কৈল ॥ ১৪ ॥ কন্যা অধিবাস করে বল্লভ-অাচার্য্য। সুমঙ্গল কৰ্ম্ম কৈল লঞ। দ্বিজবৰ্য্য ॥ ১৫ ॥ অস্যোস্থ্যে সৌরভ্য গন্ধ-মাল্য-চন্দন । অধিবাসে ভূষা কৈল জামাতা-রভন ॥ ১৬ ॥ অধিবাস-সমাধান রজনীর শেষে । পানী সাহিব বলি অইল উল্লাসে ॥ ১৭ ॥ নানাবাস্ত একি-কালে হইল তরঙ্গ। কুলবর্তী সভাকার ত্ৰত কৈল ভঙ্গ ॥ ১৮ ॥ যুবতী উমতি হৈল নদীয়া-নগরে । গৌরাঙ্গ-বিবাহ-রস-সমুদ্র-হিল্লোলে ॥ ১৯ ॥ যুথে যুথে নাগরী চলিল বিপ্রবধূ। অবনীমণ্ডলেরে মণ্ডিত যেন বিধু ॥ ২০ ॥ কুরঙ্গ-নয়নী চারু কুঞ্জরগামিনী । ঝলমল অঙ্গতেজ মদন-দাপুনী ॥ ২১ ॥ কেশ-বেশ-বসন-ভূষণ অনুপাম । হেরিলে হরিতে পারে মুনির পরাণ ॥ ২২ ॥ হাসিভে দশমিনী র্কাপে-বচনে অমিয়া । হাস পরিহাসে চলে ঢুলিয়া ঢুলিয়া ॥২৩। গাইছে গৌরাঙ্গগুণ মধুর-আলাপে। স্বর-সঞ্চ-ধ্বমিত্তে অনঙ্গ-অঙ্গ কাপে ॥ ২৪ ॥ লাসায় বেশর শোভে মুকুতা-হিল্লোলে। নক্ষত্ৰ পড়িছে ষেন অরুণমণ্ডলে ॥ ২৫ ॥ শচীর মন্দিরে ভাইলা কুলবধুগণ। সভাকারে দিলা গন্ধ, গুবাক, চন্দন ॥ ২৬ ॥ আদিখণ্ড ۹وف চলিল। নাগরী সন্তে পানী সাহিবারে। মঙ্গল আনন্দরস প্রতি ঘরে ঘরে ॥ ২৭ ॥ ( তুড়ীরাগেণ গীয়তে ) সচন্দ্রিম রজনী চন্দ্রমুখী বাল।। সুস্বর সঙ্গীত গো গাইব গোরলীলা ॥ ২৮ ॥ কে কে আগে যাইবে গো, গোরাগুণ গাইবে গো, চল যাই পানী সাহিবারে। হিয়া উথলে চিত কে বা পারে ধরিলারে ॥ধ্রু॥ কেহ পট্ৰবিলাসিনী কেহ পীতলাসে । ঢুলিতে ঢুলিভে যায় গোরা অঙ্গের বাতাসে ॥ শচী আগে আগে করি যাব পাছে পাছে। আসিতে যাইতে গেী, দাড়াব গোর-কাছে ॥ সুগন্ধি-চন্দন, মালা ঢাকি লহ করে। গোরা অঙ্গ পরশ করিল সেহি ছলে ॥ ৩১ ॥ কপূর, তাম্বুল লেহ যত্ন করি ভাথে । করে কর পরি গোরার দিব হাথে হাথে ॥৩২৷ আইহ-মুহ মিলিয়া কৌতুকরঙ্গ-রসে। পানী সাহিল–গুণ গায় এ লোচনদাসে ॥৩৩ ভাটিয়ারি—রাগ ৷ আনন্দে-সানন্দে রাত্রি সুপ্রভাতে । যথাবিধি কৰ্ম্ম কৈল হরষিত-চিতে ॥ ৩৪ ॥ স্নান-দান কৰ্ম্ম কৈল যে ছিল উচিত। দেবপূজা, পিতৃপূজা করিল বিহিত ॥৩৫ ॥ লান্দীমুখশ্ৰাদ্ধ কৈল ষে বেদবিধান। সৰ্ব্ব সম্পূর্ণ ভোজ্য ব্রাহ্মণেরে দান ॥ ৩৬ ৷ মৰ্ত্তকেরে দিল জব্য আর ভাটগণে । সভার সন্তোষ কৈল নানাজব্যদানে ॥ ৩৭। দ্রব্যকে অধিক মানে মধুরবচনে । দেখিয়া জুয়ায় হিয়া চন্দ্রিম-বদনে ॥ ৩৮ ॥ প্রবোধ করিল যার যেই অনুমান। বিবাহ-উচিত প্রভু করে পুনঃ স্নান ॥ ৩৯ ৷ নাপিতে নাপিতক্রিয়া করিল সেকালে । শ্ৰীঅঙ্গ-মার্জন করে কুলবধু-মেলে ॥ ৪০ ॥