পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল.djvu/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృ6 న দেখ দেখ আtঞ্জলীজ আরোপিল আমি । আমার তার্জিত তরু হুইবে আপনি ॥ ৩১ ॥ তখলে কহয়ে সবজনে আচম্বিত । এখনি রোপিল বীজ ভেল অঙ্কুরিত ॥ ৩২ ৷ দেখিতে দেখিতে ভেল তরু যুঞ্জরিত। হইল উত্তম শাখা তরু মুকুলিত ॥ ৩৩ ৷ দেখ দেখ সব-লোক অপরূপ তার । মুকুলিত হৈল হের তরুটা আমার ॥ ৩৪ ॥ তখনি হইল ফল – পাকিল সেকালে । তাঙ্গ,লি হেলাঞ প্ৰভু দেখায় সভারে ॥ ৩৫ ৷ পড়িয়া অনিল ফল – দেখে সব লোকে । নিলেদন করি’ দিল ঈশ্বর সম্মুখে ॥ ৩৬ ৷ তিলেকে সকল সেই না দেখিয়ে কিছু। ফলমাত্র আছে-- গাছ মিছ হৈল পাছু ॥ ৩৭ ৷ ঐছে মায়। দেখাইল- কহে সৰ্ব্বলোকে । ইহা জানি না মরিহ এ সংসার-শোকে ॥৩৮৷ মোর মায়াবলে স্বষ্টি সকল সংসার। লা বুঝি’ সকল লোক পোলে আপনার ॥ ২৯ ॥ মোর মাদ্ম-দড়ি কেপ fছ'ড়িলারে পারে। সলে এক পথ আছে মায়। জিনিলারে ॥ ৪০ ৷ যত যত দেহ-ধৰ্ম্ম-কৰ্ম্ম করে লোকে । সৰ্ব্বকৰ্ম্ম আরোপণ করে যদি মোকে ॥ ৪১ ৷ তবে দেহ-সমপণ কৃষ্ণপদে হয়। কৰ্ম্মকৰ্ম্ম-শুভাশুভ-বন্ধ নাহি হয় ॥ ৪২ ॥ এ ভক্তি পরম তত্ত্ব—সমৰ্পণ গণি । সমপিতে কৃষ্ণে—ভেদ না রহে আপনি ॥৪৩৷ সব সমপিলে—কৃষ্ণ পাই সৰ্ব্বথায় । সকল পুরাণে, গীতা, ভাগবতে গায় ॥ ৪৪ ॥ নহে বা সকল এই হয় অনর্থক। ঈশ্বরে অপিলে সব সংসার সার্থক ॥ ৪৫ ॥ হেন অদভুত গোরাচাদের প্রকাশ । শুনি আনন্দিত কহে এ লোচনদাস ॥ ৪৬ ॥ শ্রীচৈতন্যমঙ্গল કૈોનાંઠા । অকি হোরে গৌরাঙ্গ জয় জয় ॥ ধ্রু॥ হেলই সময়ে বৈদ্য মুকুন্দ দেখিয়া। কহিলেন—মহাপ্রভু মুচকি হাসিয়া ॥৪৭ ॥ তুমি নাকি ব্রহ্মবিদ্যা মান-ইহা শুনি। ভাল ত মুকুন্দদত্ত তোমারে বাখানি ॥৪৮ ॥ ইহ বলি’ এই শ্লোক পঢ়িল ঠাকুর। শুনিতে সভার হিয়া করে তুরতুর ॥ ৪৯ ॥ তথাঠি— (কবিকর্ণপুররুতচৈতন্যচরিতামু শুকাল ধুতং বচনম্ ৬৩৬) রমস্তে যোগিনোeনস্তে সতানন্দে চিদাত্মনি । ইতি রামপদেন সে পবং ব্রহ্মণ্ডিপীয়তে ॥ হতি ॥ ৫০ ॥ তমন্বয়। যোগিন: ( তপস্বিন: ) অনন্তে ( নাস্তি অস্তম্ আপ্তণ সানং চ যন্ত স তস্মি ) সত্যানন্দে চিদাত্মন ( সচ্চিদানন্দ থরূপে জ্ঞানানন্দস্বরূপবিগ্রহে ) রমস্তে ( বিহরস্তি, সদা তদনুশীলনেন শাশ্ব তgপমনুভপস্তি ) (অতএব ) রামপদেন । রাম ইত্যক্ষরুদ্ধ মুকনাম: ) অসে। হবি: ) পরং ব্রহ্ম অভিপীয়তে ( উচ্যতে ) ॥ ৫০ ৷ অনুবাদ । যোগিগণ অনন্ত সচিদানন্দবিগ্রহে সদা রমণ বা বিহার করেন । এই হেতু ‘রাম’ এই পদে পরব্রহ্ম অভিহিত হইয়া থাকেন ॥ ৫০ ৷৷ ইতি তলে পুনঃ ভগবান সেই গৌরহরি। বৈদ্যেরে কহিল কিছু অনুগ্রহ করি’ ॥ ৫১ ৷ চতুভূজ ভজন তুমি বড় করি মান। দ্বিভূজ প্যেয়নে তোর অলপ গেয়ান ॥ ৫২ ৷ সকল সম্পদৎ চাহ আপনার হিত। দ্বিভূজ ভজহ কৃষ্ণে মজাইয়া চিত ॥৫৩ ॥ কৃষ্ণের প্রকাশ নারায়ণ’—শাস্ত্রে কহে। নারায়ণ হইতে কৃষ্ণ—হেন বাক্য নহে ॥৫৪ ॥ ঐছন করুণ-বাণী কহে বিশ্বম্ভর। - শুনিএ সাদর বৈদ্য প্রণতকন্ধর ॥ ৫৫ ॥ সুরনদী-জলে স্নান করি করে" কাম। বৈষ্ণব-চরণ-ধূলি প্রসাদপ্রধান ॥ ৫৬ ॥