পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল.djvu/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সূত্রখণ্ড হাসিয়া কহয়ে কথ। সরস সম্ভাষে । অনুমভি নাই দেৰী অন্তর-ভরাসে ॥২০৩ ॥ প্ৰণতি করিয়া বৈল--নিবেদন আছে। হৃদয়-ভরাস মোর সঙ্কট সঙ্কোচে ॥ ২০৪ ॥ সঙ্কট যুচাহ প্রভূ রাখ নিজ দাসী । চরণে পরিয়া বোলে—শুন গুণরাশি ॥ ২৩৫ ৷ লখিমী কাতরে কহে প্রভুকে ভরাস । স্বদর্শন-পালে চাহে সবিস্ময় হাস ॥ ২০৬ ॥ কাপে চক্র সুদর্শন বলে কাকুবাণী । লখিমী-সঙ্কট প্রভু আমি নাহি জানি ॥ ১০৭ ৷ লগিনী কহয়ে—সুদর্শনের নাকি দোষ । নারদের কথায় মোর হৈল হিয়| শেষ ॥১০৮৷৷ দ্বাদশলৎসর মোর অজ্ঞাত-সেল। কৈল । পরিভেtয পাঞা অামি প্রতিজ্ঞ করিল ॥১০৯ মাগ বর দিল বলি লৈল সত্য সত্য । পুনঃ দঢ়াইল মুনি সেই কথা নিত্য ॥ ১১০ ৷ মাগিল যে লর তোর উচ্ছিষ্টের ভরে। মোর শক্তি কিবা তোর অভিজ্ঞ লঘিলারে ॥ এই কথা কৈল মোর প্রমাদ নিকট । রাগ নিজ দাসী প্রভু ঘুচাহ সঙ্কট ॥ ২১২ ॥ বুঝিয়া কহিল কথা-শুনহ লখিমী। পড়ই প্রসাদ-কথা কহিলে যে তুমি ॥ ১১৩ ৷ নিম্ভতে সে দিহ–যেন আমি নাহি জানি । শুনিএ সন্তোষ পাইল প্রভু আজ্ঞাবাণী ॥২১৪ কথোদিন বহি সেই জগত-জননী । মহাপ্রসাদ মোরে দিল। ডাক দিয়া আনি ॥ লখিমী-প্রসাদে মহাপ্রসাদ পাইলু । পূর্ণমনোরথে মহাপ্রসাদ ভুঞ্জিলু ॥ ২১৬ ॥ কোট-ইন্দু-জিনি জ্যোতিঃ কোটি-কামরূপ । কোটি দিবাকর-ভেজঃ হৈল অপরূপ ॥ ২১৭ ॥ শতগুণ তেজ: মহাপ্রসাদ-পরশে । বীণা বাজাইয়। সুখে আইলু কৈলাসে ॥১১৮৷৷ অামারে লেখিয়া-প্রভু পুছিলা মহেশ। হসিয়া কহিল –আজি অপরূপ বেশ ॥৩১৯ Ꮌ☾ অতি অপরূপ ভেজঃ—দেখিতে লিস্ময় । আজি কেনে হেন রূপ- কহন নিশ্চয় ॥২১০ অtছা-অন্ত যত কথা—সকল কহিল । শুনিএঃ মহেশ পুনঃ আমারে গঞ্জিল ॥ ১১১ ৷ ঐছন তুল্লভ মহাপ্রসাদ পাইয়া । একেল ভুঞ্জিল। মুনি আমারে না দিয় ॥১১২৷৷ আমা দেখিবারে পুনঃ আসিয়াছ প্রেমে। এহেন দুল্লভ ধন নাহি আন কেনে ॥ ২২ ৩ ॥ শুনিএঃ মহেশ-বাণী লজ্জিত হইয়। মমিভ-লয়ানে চাহে নখে লগ দিয়া ॥ ১২৪ ৷৷ আছে মহাপ্রসাদ-কণ। ললি দিল সুখে । পাছু ন গণিল প্রভু দিল নিজ মুখে ॥ ২২৫ ॥ তানন্দে নাচয়ে মহা মহেশঠাকুর । পদতল-তালে মহী করে তুরতুর ॥ ২১৬ ॥ প্রেম-ভরে টলমল সুমেরুপৰ্ব্বত । কম্পমান বসুমতী--- চমক সপর্বত্ৰ ॥ ২২৭ ॥ প্রেমে যোগেশ্বর র্কাপে--তাপন। পাসরে । রসাতল যায় মহী মহেশের ভরে ॥ ১২৮ ৷৷ অনন্তের ফণা ঠেকে কচ্ছপের পৃষ্ঠে । গ্ৰীল। বহিঞ্চৈল। কুৰ্ম্ম চাহে একদৃষ্ঠ্যে ॥২২৯ বক্রীপ করি ভরে যত দিশ্ববাহ। হুহুঙ্কার-নগদে ফণটে ব্রহ্ম। গু-কটাহ ৷ ১৩০ ৷৷ মহেশের ভর দেবী সহিন্তে ন পারি। আস্তে ব্যস্তে গেলা মহেশের পুরী ॥ ১ ৩১ ॥ কাত্যায়নী স্থানে মঙ্গী কহে করযুড়ি। মহেশের লুত্য-ভরে প্রাণ অামি ছাড়ি ॥২৩২৷৷ প্রভিকার কর যদি স্মৃষ্টি রাখিপারে। প্রমাদ পড়িল দেখি সকল সংসারে ॥ ১ ৩৩ ৷ পুথিলী কণভরবাণী শুনিএড়। পাৰ্ব্বতী । সত্বরে চলিয়া গেল। যথা পশুপতি ॥ ২৩৪ ॥ পূর্ণরসালেশে নাচে দেবদেবরায় । মহেশ-আবেশ ভাঙ্গে কর্কশ কথায় ॥ ২৩৫ ৷ সম্বিদ হইলা প্রভু দুঃখিত হইয়া। কর্কশ-হৃদয়ে বলে পাৰ্ব্বতী দেখিয়া ॥ ২২৬ ॥