পাতা:শ্রীশ্রীনরোত্তমবিলাস.djvu/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২২ जैवैनाद्रांखिम-बिजांज । একদিন আচার্য্যের প্রতি প্রভু কহে । একচক্র হইয়া যাইব খড়দহে ॥ কালি প্রাতে গমন করিব কৈলু মনে। কথোদুর পর্যন্ত যাইব তুয় সনে ॥ আচাৰ্য্য কহেন মনে হৈল যে তোমার । ইহা কে অন্তথা করে ঐছে শক্তি কার ॥ প্রভু বীরচন্দ্র হাসি কহে ধরি ধরি। তোমা সভাকার বাক্য লঙ্ঘিতে না পারি কছিলাম মনে যাহা হইল উদয় । বুঝিয়া করহ কাৰ্য্য যেই ইচ্ছা হয় ॥ নরোত্তমে কহে গিয়া আচাৰ্য্য ঠাকুর। জামা সহ হৈবে কালি গমন প্রভুর। শুনি মহাশয় অতি ব্যাকুল হইল৭ আচাৰ্য্য ঠাকুর কত যত্নে প্রবোধিলা ॥ আর যে প্রসঙ্গ দোহে করিলা নির্জনে । সে সকল বুঝিবারে নারে অন্তজনে ॥ কতক্ষণে রহি তথা প্রভু পাশ আইলা । গমনের আয়োজন সন্তোষ করিলা"। প্রভু বীরচন্দ্রের সঙ্গেতে যাবে যাহা । ঠাকুর কানাঞি ঠাঞি সমৰ্পিলা তাহা ॥ ঐআচাৰ্য্য ঠাকুরের সঙ্গে যাহা চাই। তাহা সমৰ্পিল রূপ ঘটকের ঠাঞি। বুধরি গ্রামেতে শীঘ্ৰ লোক পাঠাইল । পদ্মাৱতী তীরে বহু নৌকা রাখাইলা ॥ হইল সৰ্ব্বত্র ধ্বনি খেতরি হইতে । যাত্রা করিলেন প্রভু রজনী প্রভাতে ॥ কেহ কণর প্রতি কত কহে ঠাঞি ২ । দিব রাত্রি লোক গতায়াত অন্ত নাই ৷ খ্ৰীনিবাসাচাৰ্য্য লৈয়া বীরচন্দ্র রায় । গৌরাঙ্গ প্রাঙ্গণে গিয়া হইল বিদায়॥ বাসায় আসিয়া বসিলেন কতক্ষণ । তথাতে একত্ৰ হইলেন সৰ্ব্বজন ॥ { গমন করিলা শীঘ্র পদ্মাবতী তীরে । কেহ কোনরূপে ধৈৰ্য্য ধরিতে না পারে। দীনপ্রায় শ্ৰীমহাশয়ের শিষ্যগণ । বন্দিলেন প্রভু বীরচন্দ্রের চরণ ॥ করিলা প্রণাম বহু আচাৰ্য্য চরণে ॥ এ দোহে করিলা অনুগ্রহ সৰ্ব্বজনে ॥ শ্ৰীমহাশয়েরে রামচন্দ্ৰ কহি কত । হইল বিদায় কথো দিবসের মত ॥ হরিরাম রামকৃষ্ণ গঙ্গানারায়ণ । ঐগোবিন চক্রবর্তী শ্ৰীগোপীরমণ ॥ বলরাম কবিরাজ আদি কথোজনে । আচার্য রাখিলা মহাশয় সন্নিধানে ॥ থেতরি গ্রামেতে হৈতে আইলা যত জন । সভারে কহিলা নানা প্রবোধ বচন । প্রভু বীরচন্দ্ৰ লৈয়া আচাৰ্য্য ঠাকুর। চড়িলা নৌকায় সব ধৈর্য্য গেল দুর। রামচন্দ্র আদি সভে চড়িলা নৌকায়। কর্ণধার নৌকা ছাড়ি দিলেন ত্বরায় ॥ উঠিল ক্রননধ্বনি পদ্মাবতী তীরে। যাহার শ্রবণে দারুপাযাণ বিদরে ॥