পাতা:শ্রীশ্রীনরোত্তমবিলাস.djvu/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ઉન્ન যার পানে বারেক করয়ে কৃপাদৃষ্টি। সে হয় গায়ক গানে করে প্রেমবৃষ্টি । অতিনীচ যবন বৰ্ব্বর দুরাচার। সেহ মত্ত হৈয়া গায় গৌরাঙ্গ-বিহার ॥ উঠিল কীৰ্ত্তনধ্বনি বাপিল ভুবন । স্বর্গে রহি পুষ্পবৃষ্টি করে দেবগণ। শুনিতে সে উচ্চগান কেবা ধৈর্য্য ধরে । আনের কা কথা দারু পাষাণ বিদরে | গন্ধৰ্ব্ব কিন্নর কহে একি চমৎকার । অকস্মাৎ ঐছে গীত কে কৈল প্রচার। দেবলেকে চুল্লভ এ গীতের ৰিধান। মৃত্য গীত বাদ্য কি হইল মূৰ্ত্তিমান ৷ কেহ কহে চৈতন্তভক্তের কি অসাধ্য। চৈতন্তভক্ত সৰ্ব্বদেবের আরাধ্য ৷ ঐছে কহি মনুষ্যের বেশেতে আসিয়া । । নরোত্তম চরণে পড়য়ে লোটাইয়া ॥ হৈল যে প্রকার তাহা কে পারে বণিতে। কতক্ষণে সবে স্থির হইলা যত্নেতে ॥ সেই দিন বলরাম আদি কত জন । ঠাকুরের স্থানে কৈলা শ্ৰীমন্ত্র গ্রহণ ॥ কীৰ্ত্তনের শুভারম্ভ সেই দিন হৈতে। আর যে যে রঙ্গ তাহা না পারি বণিতে ॥ ঐঠাকুর মহাশয় মনের আনন্দে । লক্ষ্মী বিষ্ণুপ্রিয়া সহ দেখে গৌরচন্দ্রে ॥ বলরাম বিপ্ৰ আদি শিষ্য কত জনে । নিযুক্ত কলি গীের বিগ্রহ সেবন। শ্ৰীনরোত্তম নিদলি । স্বপ্লাদেশে আর পঞ্চ সেবা প্রকাশিয় । চিন্তাযুক্ত আচার্যের সংবাদ না পাঞী। মহাশয় বিচার করয়ে মনে মনে । র্তার আজ্ঞ নাই লোক পাঠাব কেমনে | এবে কি উপায় করি বহুদিন হৈল। জাজিগ্রাম হৈতে এথা কেহ না আইল ॥ এইরূপ বিচারিতে উদ্বিগ্ন হুইলা । হেনকালে জাজিগ্রাম হৈতে লোক আইল র্তারে দেখি হৰ্ষ শ্ৰীঠাকুর মহাশয়। বসাইয়া আসনে কুশল জিজ্ঞাসয় ॥ তেহো কহে সকল মঙ্গল কহি ক্রমে । তোমা লাগি সতত ব্যাকুল জাজিগ্রামে ॥ শ্ৰীখণ্ড কণ্টক নগরেতে প্রায় স্থিতি । মধ্যে মধ্যে নবদ্বীপাঞ্চলে গতাগতি ॥ একদিন আচার্য্য ঠাকুর খণ্ডে গেল । শ্ৰীসরকার ঠাকুর অনেক প্রবোধিলা ॥ পুনঃ করে ধরি আজ্ঞা দেই বারেবারে। বিবাহ করিতে বাপু হইব তোমারে। পুন পুনৰ্ব্বার আজ্ঞা লঙ্ঘন না হয়। করিলা বিবাহ শুনি হৈল হর্ষোদয় ॥ করিলা বিবাহ ঐহি শ্ৰীজাজি গ্রামেতে । তথা আইসে বহু বিস্তাবন্ত শিষ্য হৈতে ॥ খণ্ডবাসী চিরঞ্জীব সেনের নন্দন । রামচন্দ্র নাম সৰ্ব্বশাস্ত্রে বিচক্ষণ ॥ তারে শিষ্য করিলেন একথা শুনিতে । স্বাভাবিক প্রেমের উদয় হৈল চিতে ॥