পাতা:শ্রীশ্রীনিত্যানন্দচরিতামৃত.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శ్చ:ఫి রসনায় লিহে যেন দরশনে পান । ভুজে যেন আলিঙ্গন নাসিকায় ব্ৰাণ ॥ এইমত নিত্যানন্দ, হুইলা স্তম্ভিত । না বোলে না করে কিছু, সবেই বিস্মিত ॥ বুঝিলেন সৰ্ব্ব-প্রাণনাথ গৌররায় । , নিত্যানন্দ জানাইতে স্থজিলা উপায় ॥ ইঙ্গিতে শ্ৰীবাস প্রতি বলিলেন ঠারে । - ভাগবতে ( র) এক শ্লোক পাঠ করিবারে । প্রভুর ইঙ্গিত বুঝি শ্ৰীবাস পণ্ডিত । কৃষ্ণ-ধ্যান-এক শ্লোক পড়িলা ত্বরিত ৷ বহুর্ণপীড়ম নটবরবপুঃ কর্ণয়েঃ কণিকারম, বিভ্ৰদ্বাসঃ কনককপিশম বৈজয়ন্তাঞ্চ মালাম । রন্ধ,াম বেণেরধরস্থধয়া পূরয়ন গোপবৃন্দৈ,বৃন্দারণ্যম স্বপদরমণম প্রাবিশদ গীতকীৰ্ত্তিঃ ॥ শ্ৰীমদ্ভা, ১০ স্কন্ধ ৷ শুনিমাত্র নিত্যানন্দ শ্লোক উচ্চারণ । পড়িলা মূৰ্চিছত হয়৷ নাহিক চেতন ॥ আনন্দে মৃচিছত হৈলা নিত্যানন্দ-রায় । “পড় পড়” শ্রীবাসেরে গৌরাঙ্গ শিখায় ॥ শ্লোক শুনি কতক্ষণে হইলা চেতন । তবে প্রভু লাগিলেন করিতে রোদন ॥ পুনঃ পুনঃ শ্লোক শুনি বাড়য়ে উন্মাদ । ব্রহ্মাণ্ড ভেদয়ে হেন শুনি সিংহনাদ ॥ অলক্ষিতে অন্তরীক্ষে পড়িয়ে আছাড় । সবে মনে ভাবে কিবা চুৰ্ণ হৈল হাড় । অস্যের কি দায় । বৈষ্ণবের লাগে ভয় । “রক্ষ কৃষ্ণ, রক্ষ কৃষ্ণ’ সবে সঙরয় ॥ গড়াগড়ি যায়, প্রভু, পৃথিবীর তলে । কলেবর পূর্ণ হৈল নয়নের জলে ॥ বিশ্বস্তুর রূপ চাহি ছাড়ে ঘন-শ্বাস । অস্তর-আনন্দ ক্ষণে, ক্ষণে মহা হাস ।