পাতা:শ্রীশ্রীনিত্যানন্দচরিতামৃত.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঐঐনিত্যানন্দচরিতামৃত । সৰ্ব্বশাস্ত্রজ্ঞাত সেই ঠাকুর-পণ্ডিত । করিলা সকল কার্য্য বিধি ও বোধিত । দিব্য-গন্ধ-সহিত সুন্দর বনমালা । নিত্যানন্দ-হাতে দিয়া কহিতে লাগিলা । “শুন শুন নিতানন্দ ! এই মালা ধর । বচন পড়িয়া ব্যাসদেবে নমস্কর । শাস্ত্রবিধি আছে মালা আপনে সে দিব|” ব্যাস তুষ্ট হৈলে, সৰ্ব্ব-অভীষ্ট পাইব ॥” যত শুনে নিত্যানন্দ করে “হয় হয়” । কিসের বচন-পাঠ—প্রবোধ না লয় ॥ কিবা বলে ধীরে ধীরে, বুঝন না যায় । মালা হাতে করি পুনঃ চারিদিকে চা’য় । প্রভুরে ডাকিয়া বলে শ্ৰীবাস উদার । “ন পূজেন ব্যাস এই শ্রীপাদ তোমার ॥” শ্রীবাসের বাক্য শুনি শ্ৰীগৌরশুন্দর । ধাইয়া সম্মুখে প্রভু আইলা সত্বর ॥ প্রভু বলে “নিত্যানন্দ ! শুনহ বচন । মালা দিয়া কর’ ঝাট ব্যাসের পূজন ॥” দেখিলেন নিত্যানন্দ—প্রভু বিশ্বস্তুর । মালা তুলি দিলা তার মস্তক-উপর । সকল বৈষ্ণব হৈলা আনন্দে বিহবল ৷ ব্যাসপূজা-মহোৎসব মহা-কুতুহল । কেহু নাচে কেহ গায় কেহ গড়ি-ষায় । সবাই চরণ ধরে, যে যাহার পায় ৷ চৈতন্য প্রভুর মাতা-জগতের আই । নিভৃতে বসিয়া রঙ্গ দেখেন তথাই ॥ বিশ্বম্ভর নিত্যানন্দ দেখি দুইজনে । “তুইজন মোর পুত্র” হেন বাসে মনে ॥ ব্যাসপূজা-মহোৎসব পরম উদার । অনন্ত-প্ৰভু সে পারে ইহা বর্ণিবার ॥ সূত্র করি কহি কিছু নিতাই চরিত। যে-তে-মতে কৃষ্ণ গাইলেই হয় হিত ৷