পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর । নিরঞ্জন,মহিমা, রাম প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে কীৰ্ত্তনানন্দে। ১৫৯ গান—গয়া গঙ্গা প্রভাসাদি কাশী কাঞ্চী কেবা চায় । কালী কালী বলে আমার অজপা যদি ফুরায় ॥ গান—আপনাতে আপনি থেকে মন, যেয়ে না কো কারু ঘরে । যা চাবি তাই বসে পাবি, খোজ নিজ অন্তঃপুরে ॥ গান-—মজলে আমার মনভ্রমরা শ্যামাপদ নীলকমলে । । গান—যতনে হৃদয়ে রেখে আদরিণী শু্যামা মাকে । মন তুই দ্যাখ, আর আমি দেখি,আর যেন কেউ নাহি দেখে ॥ ঠাকুর এই গানটী গাইতে গাইতে দণ্ডায়মান হইলেন । মার প্রেমে উন্মত্তপ্রায় । ‘আদরিণী শ্যামা মাকে হৃদয়ে রেখো” এ কথাটী যেন ভক্তদের বার বার বলিতেছেন। ঠাকুর এইবার যেন সুরাপানে মত্ত হইয়াছেন। নাচিতে নাচিতে আবার গান গাইতেছেন— লা কি আমার কালে রে । কালোরূপ দিগম্বরী, হৃদিপদ্ম করে আলো রে । ঠাকুর গাইতে গাইতে বড় টলিতেছেন দেখিয়া নিরঞ্জন তাহাকে ধারণ করিতে গেলেন। ঠাকুর মৃদুস্বরে "য়্যাই ! শালা ছু সনে বলিয়৷ বারণ করিতেছেন। ঠাকুর নাচিতেছেন দেখিয়া ভক্তেরা দাড়াইলেন । ঠাকুর মাধ্যারের হস্ত ধারণ করিয়া বলিতেছেন—‘য়্যাই শালা নাচ !’ [বেদান্তবাদী মহিমার প্রভুসঙ্গে সঙ্কীৰ্ত্তনে নৃত্য ও ঠাকুরের আনন্দ । ] ঠাকুর নিজের আসনে বসিয়া আছেন। ভাবে গর্গর মাতোয়ার ! ভাব কিঞ্চিৎ উপশম হইলে বলিতেছেন—ণ্ড ও ওভ ও ও... ও কালী ! আবার বলিতেছেন, তামাক খাব। ভক্তেরা অনেকে দাড়াইয়া আছেন । মহিমাচরণ দাড়াইয়া ঠাকুরকে পাখা করিতেছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ ( মহিমার প্রতি ) । আপনারা বোসো । “আপনি বেদ থেকে একটু কিছু শুনাও । মহিমাচরণ আবৃত্তি করিতেছেন—‘জয় জজুমান ইত্যাদি। আবার মহানির্ববাণতন্ত্র হইতে স্তব আবৃত্তি করিতেছেন— ও নমস্তে সতে তে জগৎকারণায়, নমস্তে চিতে সর্ববলোকাশয়ায় । নমোহদ্বৈততত্ত্বীয় মুক্তিপ্রদায়, নমো ব্রহ্মণে ব্যাপিনে শ্বাশ্বতায় । ত্বমেকং