পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨ শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত। [188 3, 1st January. করেন। তাহার আদি নিবাস জনাই গ্রামে । Exchange এর বড় বাবু। নিলামের কাজ তদারক করেন । প্রথম পরিবারের সন্তান না হওয়াতে, র্তাহার মত লইয়া দ্বিতীয়বার দ্বার পরিগ্রহ করিয়াছেন । র্তাহারই একমাত্র পুত্র সন্তান হইয়াছে । ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে প্রাণকৃষ্ণ বড় ভক্তি করেন। একটু স্থূলকায়, তাই ঠাকুর মাঝে মাঝে ‘মোটাবামুন । বলিতেন। অতি সজ্জন ব্যক্তি। প্রায় নয়মাস হইল ঠাকুর তাহার । বাটীতে ভক্তসঙ্গে নিমন্ত্রণ গ্রহণ করিয়াছিলেন। প্রাণকৃষ্ণ নানা ব্যঞ্জন ও মিষ্টান্নাদি করিয়া অন্নভোগ দিয়াছিলেন । , ঠাকুর মেজেতে বসিয়া আছেন। কাছে এক চাঙড় জিলিপি,— কোন ভক্ত আনিয়াছেন । তিনি একটু জিলিপি ভাঙ্গিয়া খাইলেন । শ্রীরামকৃষ্ণ ( প্রাণকৃষ্ণাদির প্রতি, সহস্তে ) । দেখছে৷ আমি মায়ের নাম করি বলে –এই সব জিনিষ খেতে পাচ্ছি! (হাস্য) “কিন্তু তিনি লাউ কুমড়ে ফল দেন না,--তিনি অমৃত ফল দেন -- জ্ঞান, প্রেম, বিবেক, বৈরাগ্য —” ঘরে একটা ছয় সাত বছরের ছেলে প্রবেশ করিল । ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের বালকাবস্ত । এক জন ছেলে যেমন আর এক জন ছেলের কাছ থেকে খাবার লুকিয়ে রাখে পাছে সে খাইয় ফেলে, ঠাকুরেরও ঠিক সেই অপূর্ব বালকবং অবস্থা হইতেছে। তিনি জিলিপীর চাঙড়াটা হাত ঢাকা দিয়া লুকাইতেছেন। ক্রমে তিনি চ্যাঙড়াট একপাশ্বে সরাইয়। রাখিয়া দিলেন । প্রাণকৃষ্ণ গৃহস্থ বটেন । কিন্তু তিনি বেদান্ত চর্চা করেন— বলেন, ব্ৰহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা ; তিনিই আমি—সোহহং । ঠাকুর তাহাকে বলেন, কলিতে অন্নগত প্রাণ-কলিতে নারদীয় ভক্তি । ‘সে যে ভাবের বিষয়, ভাব ব্যতীত অভাবে কে ধৰ্ত্তে পারে "— বালকের ন্যায় হাত ঢাকিয় মিষ্টান্ন লুকাইতে লুকাইতে ঠাকুর সমাধিস্থ হইলেন ! |