পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२ ătălătoriss [ 1883, 2nd May. তুমি আমাদের পিতা আমাদের সদবুদ্ধি দাও—তোমাকে নমস্কার : আমাদিগকে বিনাশ করিও না ।” ব্রাহ্মভক্তেরা সমস্বরে আচার্য্যের সহিত বলিতেছেন— ওঁ সত্যং জ্ঞানমনন্তং ব্রহ্ম । আনন্দরূপমমৃতং যদ্বিভাতি । শান্তম শিবমদ্বৈতম। শুদ্ধমপাপবিদ্ধম । এইবার আচার্য্যগণ স্তব করিতেছেন— ওঁ নমস্তে সতে তে জগৎকারণায় নমস্তে চিতে সর্ববলোকশিয়ায় ৷ ইত্যাদি । স্তোত্র পাঠের পর আচার্য্যের প্রার্থনা করিতেছেন— অসতোমা সদগময় ৷ তমসো মা জ্যোতিগময়। মৃতোমর্ণহস্তং গময়। আবিরাবিস্মএধি। রুদ্রযত্তে দক্ষিণং মুখং তেন মাং পাহি নিত্যম্। স্তোত্রাদি পাঠ শুনিয়া ঠাকুর ভাবাবিষ্ট হইতেছেন । এইবার আচাৰ্য্য প্রবন্ধ পাঠ করিতেছেন। অক্রোধপরমানন্দ শ্রীরামকৃষ্ণ । অহেতুককৃপাসিন্ধু । ] উপাসনা হইয়া গেল। ভক্তদের লুচি মিষ্টান্ন আদি খাওয়াইবার উদ্যোগ হইতেছে। ব্রাহ্মভক্তেরা অধিকাংশই নীচের প্রাঙ্গণে ও বারণ্ডায় বায়ু সেবন করিতেছেন । রাত নয়ট হইল। ঠাকুরের দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরে ফিরিয়া যাইতে হইবে । গৃহস্বামীর আহূত সংসারা ভক্তদের লইয়। খাতির করিতে করিতে এত ব্যতিব্যস্ত হইয়াছেন যে ঠাকুরের আর কোন সংবাদ লইতে পারিতেছেন না । * শ্রীরামকৃষ্ণ (রাখাল প্রভৃতির প্রতি) । কিরে কেউ ডাকেন যে রে ! রাখাল (সক্রোধে)। মহাশয়, চলে আসুন—দক্ষিণেশ্বরে যাই । শ্রীরামকৃষ্ণ (সহস্যে )। আরে রোস্—গাড়ীভাড়া তিন টাকা ছ আনা কে দেবে !—রোকু করলেই হয় না । পয়সা নাই আবার ফাকা রোক্‌ ! আর এত রাত্রে খাই কোথা ! অনেকক্ষণ পরে শোনা গেল, পাত হইয়াছে। সব ভক্তদের এককালে আহবান করা হইল। সেই ভিড়ে ঠাকুর রাখাল প্রভৃতির সঙ্গে