পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪ শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত—৩য় ভাগ [ ১৮৮২, ৫ই আগষ্ট আমার ভগিনী বিধবা হইয়াছে, তাহার সমস্ত ভার আমাকে লইতে হইয়াছে। এ বেতনে আমার চলে না। হয়ত, কেহ বিলাত হইতে লিখিয়াছেন, আমি এখানে বিপদগ্ৰস্ত, আপনি দীনের বন্ধু, কিছু টাকা পাঠাইয়া আসন্ন বিপদ হইতে আমাকে রক্ষা করুন। কেহ বা ‘লিখিয়াছেন, অমুক তারিখে সালিসির দিন নিৰ্দ্ধারিত, আপনি সেইদিন আসিয়া আমাদের বিবাদ মিটাইয়া দিবেন। ঠাকুর গাড়ী হইতে অবতরণ করিলেন। মাষ্টার পথ দেখাইয়া বাটীর মধ্যে লইয়া যাইতেছেন । উঠানে ফুলগাছ, তাহার মধ্য দিয়া আসিতে আসিতে ঠাকুর বালকের স্যায় বোতামে হাত দিয়া মাষ্টরকে জিজ্ঞাসা করিতেছেন, “জামার বোতাম খোলা রয়েছে,—এতে কিছু দোষ হবে না?” গায়ে একটি লংক্লথের জামা, পরনে লাল পেড়ে কাপড়, তাহার আঁচলটি কাধে ফেলা । পায়ে বার্ণিশ করা চটি জুতা। মাষ্টার বললেন, ‘আপনি ওর জন্য ভাববেন না আপনার কিছুতে দোষ হবে না ; আপনার বোতাম দেবার দরকার নাই। বালককে বুঝাইলে যেমন নিশ্চিন্ত হয়, ঠাকুরও তেমনি নিশ্চিন্ত হইলেন । ● দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ বিদ্যাসাগর সিড়ি দিয়া উটিয়া একেবারে প্রথম কামরাটিতে (উঠিবার পর ঠিব উত্তরের কামরাটিতে ) ঠাকুর ভক্তগণসঙ্গে প্রবেশ করিতেছেন বিদ্যাসাগর কামরার উত্তর পাশ্বে দক্ষিণাস্ত হইয়া বসিয়া আছেন ; সম্মু:ে একটি চারকোণা লম্বা পালিশ করা টেবিল। টেবিলের পূর্ববধাে একখানি পেছন দিকে হেলান দেওয়া বেঞ্চ । টেবিলের দক্ষিণ পা