পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কঠিন। সতে থাকলে ভগবানকে পাওয়া যায় তুলসীদাস বলেছে সত্যকথা, অধীনত, পরস্ত্রী মাতৃসমান, এইসে হরি না মিলে ভুল বুট জবান।' - s - " নছিল, অন্য লোক হ'লে কখনই “কেশব সেন বাপের ধার মেে মানতো না, একে লেখা পড়া নাই । জোড়াসাকোর দেবেন্দ্রের সমাজে ধ্যান করছে । তখন ছোকরা গিয়ে দেখলাম, কেশব সেন বেদীতে বসে, বয়স। আমি সেজোবাবুকে বললাম, যতগুলি ধ্যান করছে এই ছোকরার ফতা ( ফাত না ) ডুবেছে,— বড়শীর কাছে মাছ এসে ঘুরছে। “একজন—তার নাম করবো না—সে দশ হাজার টাকার জন্ত আদালতে মিথ্যা কথা কয়েছিল। জিতবে বলে আমাকে দিয়ে মা কালীকে অর্ঘ্য দেওয়ালে। আমি বালক-বুদ্ধিতে অর্ঘ্য দিলুম ! বলে, বাবা, এই অৰ্ঘ্যটি মাকে দাও তো।” ভক্ত—আচ্ছা লোক ! স্ত্রীরামকৃষ্ণ–কিন্তু এমনি বিশ্বাস আমি দিলেই মা শুনবেন । ললিতবাবুর কথায় ঠাকুর বলিতেছেন,— “অহঙ্কার কি যায় গা! দুই এক জনের দেখতে পাওয়া যায় না । বলরামের অহঙ্কার নাই। আর এর নাই –অন্ত লোক হ’লে কত টেরা, তমো হতো,—বিদ্যার অহঙ্কার হতো। মোট বামুনের এখনও একটু একটু আছে । (মাষ্টারের প্রতি ) মহিম চক্রবর্তী অনেক পড়েছে,—ন ?” - . . . . . মাষ্টার—আজ্ঞে হা, অনেক বই পড়েছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্তে)—তার সঙ্গে গিরিশ ঘোষের একবার আলাপ হয়। তাহলে একটু বিচার হয়।