পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$U छैटौब्राबकृक्कथाञएङ–२ङ्ग छाण [ ১৮৮৪, ৫ই এপ্রিল (মাটারের প্রতি)—তুমি এইটে শুনে যাও—অহং লাঠিটি তুলে নিলে এক সচ্চিদানন্দ সমদ্র। অহং লাঠিটি থাকলে দটো দেখায়, এ একভাগ জল ও একভাগ জল। ব্রহ্মজ্ঞান হ’লে সমাধিস্থ হয়। তখন এই অহং পাছে যায়। “তবে লোকশিক্ষার জন্য শঙ্করাচার্য বিদ্যার আমি রেখেছিলেন। (প্রাণকৃষ্ণের প্রতি)—“কিন্তু জ্ঞানীর লক্ষণ আছে। কেউ কেউ মনে করে, আমি জ্ঞানী হয়েছি। জ্ঞানীর লক্ষণ কি ? জ্ঞানী কার অনিষ্ট করতে পারে না। বালকের মত হয়ে যায়। লোহার খণে যদি পরশমণি ছোঁয়ান হয়, খড়া সোনা হয়ে যায়। সোনায় হিংসার কাজ হয় না। বাহিরে হয় ত দেখায় যে, রাগ আছে কি অহংকার আছে, কিন্তু বস্তুতঃ জ্ঞানীর ও সব কিছু থাকে না। “দর থেকে পোড়া দড়ি দেখলে বোধ হয়, ঠিক একগাছা দড়ি পড়ে আছে। কিন্তু কাছে এসে ফু দিলে সব উড়ে যায়। ক্ৰোধের আকার, অহংকারের আকার কেবল। কিন্তু সত্যকার ক্ৰোধ নয়, অহংকার নয়। “বালকের অাঁট থাকে না। এই খেলাঘর করলে, কেউ হাত দেয় ত ধেই ধেই করে নেচে কাঁদতে আরম্ভ করবে। আবার নিজেই ভেঙ্গে ফেলবে সব। এই, কাপড় এত অটি, বলছে আমার বাবা দিয়েছে, আমি দেবো না। আবার একটা পর্তুল দিলে পরে ভুলে যায়, কাপড় খানা ফেলে দিয়ে চলে যায় ! “এই সব জ্ঞানীর লক্ষণ। হয় ত বাড়ীতে খুব ঐশ্বয ; কোচ, কেদারা, ছবি, গাড়ী-ঘোড়া ; আবার সব ফেলে কাশী চলে যাবে। “বেদান্তমতে জাগরণ অবস্থাও কিছ নয়। এক কাঠারে স্বপন দেখেছিল। একজন লোক তার ঘমে ভাঙ্গানতে সে বিরক্ত হয়ে বলে উঠলো, তুই কেন আমার ঘুম ভাঙ্গালি ? আমি রাজা হুয়েছিলাম, সাত ছেলের বাপ হয়েছিলাম! ছেলেরা সব লেখা-পড়া, অস্ত্রবিদ্যা সব শিখছিল। আমি সিংহাসনে বসে রাজত্ব করছিলাম। কেন তুই আমার সখের সংসার ভেঙ্গে দিলি ? সে ব্যক্তি বললে, ও ত স্বপন ওতে আর কি হয়েছে। কাঠরে বললে, দর! তুই বুঝিস না, আমার কাঠারে হওয়া যেমন সত্য, স্বপনে রাজা হওয়াও তেমনি সত্য। কাঠারে হওয়া যদি সত্য হয়, তা হলে স্বপনে রাজা হওয়াও সত্য।” প্রাণকৃষ্ণ জ্ঞান জ্ঞান করেন, তাই বুঝি ঠাকুর জ্ঞানীর অবস্থা বলিতেছিলেন। এইবার ঠাকুর বিজ্ঞানীর অবস্থা বলিতেছেন। ইহাতে কি তিনি নিজের অবস্থা ইঙ্গিত করিতেছেন ? ত’ বিচার করে সমাধিপথ হলে আত্মাকে ধরা যায়। “বিজ্ঞান—কি না বিশেষরপে জানা। কেউ দুধ শমনেছে, কেউ দুধ দেখেছে, কেউ দুধ খেয়েছে।. ষে কেবল শুনেছে, সে অজ্ঞান। যে দেখেছে সে জ্ঞানী ; যে, খেয়েছে, তারই বিজ্ঞান অর্থাৎ বিশেষরপে জানা হয়েছে।