পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀՕՀ £ीईओब्रामकृदकधाश्रङ-२ग्न छाणि ১৮৮৫, ১লা মাচ" নরেন্দ্ৰ—আমি কিছল বলি নাই, তিনিই বলেন, তাঁর অবতার বলে বিশ্বাস। আমি আর কিছু বললাম না। গ্রীরামকৃষ্ণ–কিন্তু খাব,বিশ্বাস! দেখেছিস ? ভক্তেরা একদটে দেখিতেছেন। ঠাকুর নীচেই মাদরের উপর বসিয়া আছেন। কাছে মাস্টার, সম্মুখে নরেন্দ্র, চতুদিকে ভক্তগণ। ঠাকুর একটা চুপ করিয়া নরেন্দ্রকে সস্নেহে দেখিতেছেন। কিয়ৎক্ষণ পরে নরেন্দ্রকে বলিলেন, “বাবা, কামিনী-কাঞ্চন ত্যাগ না হ’লে হবে না। বলিতে বলিতে ভাবপণ হইয়া উঠিলেন। সেই কর্ণা মাখা সস্নেহ দটি, তাহার সঙ্গে ভাবোন্মত্ত হইয়া গান ধরিলেন— কথা বলতে ডরাই, না বললেও ডরাই। মনে সন্ধ হয় পাছে তোমাধনে হারাই হারাই ॥ আমরা জানি যে মন তোর, দিব তোকে, সেই মন তোর, ७थन बन ८ङाद्भ; ख्धाञब्रा ट्य अद्वन्छ बिनटमट्ज़ डब्रि डब्राद्ये ॥ শ্রীরামকৃষ্ণের যেন ভয়, বুঝি নরেন্দ্র আর কাহারও হইল, আমার বুঝি হ'ল না! নরেন্দ্র অশ্রুপণেলোচনে চাহিয়া আছেন। বাহিরের একটি ভক্ত ঠাকুরকে দশন করিতে আসিয়াছিলেন। তিনিও কাছে বসিয়া সমস্ত দেখিতেছিলেন ও শনিতেছিলেন। ভক্ত—মহাশয়, কামিনী-কাঞ্চন যদি ত্যাগ করতে হবে, তবে গহস্থ কি করবে ? শ্রীরামকৃষ্ণ—তা তুমি কর না! আমাদের অমনি একটা কথা হয়ে গেল। Ol [গহপথ ভক্তের প্রতি অভয়দান ও উত্তেজনা] মহিমাচরণ চুপ করিয়া বসিয়া আছেন, মুখে কথাটি নাই। শ্রীরামকৃষ্ণ (মহিমার প্রতি)—এগিয়ে পড়! আরও আগে যাও, চন্দনকাঠ পাবে, আরও আগে যাও, রপোর খনি পাবে ; আরও এগিয়ে যাও সোনার খনি পাবে, আরও এগিয়ে যাও হীরে মাণিক পাবে। এগিয়ে পড়! মহিমা—অজ্ঞে, টেনে রাখে যে—এগতে দেয় না! শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)—কেন, লাগাম কাট, তাঁর নামের গণে কাট ৷ ‘কালী নামেতে কালপাশ কাটে । নরেন্দ্র পিতৃবিয়োগের পর সংসারে বড় কাট পাইতেছেন। তাঁহার উপর অনেক তাল যাইতেছে। ঠাকুর মাঝে মাঝে নরেন্দ্রকে দেখিতেছেন। ঠাকুর বলিতেছেন, তুই কি চিকিৎসক হয়েছিল ? শতমারী ভবেদ্বৈদ্যঃ। সহস্ৰমারী চিকিৎসকঃ । (সকলের হাস্য)। ঠাকুর কি বলিতেছেন, নরেন্দ্রের এই বয়সে অনেক দেখাশনা হইল— সখদঃখের সঙ্গে অনেক পরিচয় হইল। নরেন্দ্র ঈষৎ হাসিয়া চুপ করিয়া রহিলেন।