পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミObf |ब्राबकृककधाञए७-२ब्र छाण [ ১৮৮৫, ২৪শে এপ্রিল ক্লমে বেলা পড়িতে লাগিল । ঠাকুর গিরিশের বাড়ী যাইবেন, সেখানে আজ উৎসব। ঠাকুরকে লইয়া গিরিশ উৎসব করিবেন। ঠাকুর বলরামের দ্বিতল ঘর হইতে নামিডেছেন। সঙ্গে মাস্টার পশ্চাতে আরও দল একটি ভক্ত। দেউড়ির কাছে আসিয়া দেখেন, একটি হিন্দপথানী ভিখারী গান গাহিতেছে। রামনাম শুনিয়া ঠাকুর দাঁড়াইলেন। দক্ষিণাস্য। দেখিতে দেখিতে মন অন্তমুখ হইতেছে। এইরুপভাবে খাণিকক্ষণ দাঁড়াইয়া রহিলেন; মাল্টারকে বলিলেন “বেশ সর।” একজন ভক্ত ভিক্ষককে চারিটি পয়সা দিলেন। ঠাকুর বোসপাড়ার গলিতে প্রবেশ করিয়াছেন । হাসিতে হাসিতে মাস্টারকে বললেন, “হ্যাগা, কি বলে ? পরমহংসের ফৌজ আসছে ? শালারা বলে কি।” (সকলের হাস্য)। তৃতীয় পরিচ্ছেদ অবতার ও সিদ্ধ পরিষের প্রভেদ-মহিমা ও গিরিশের বিচার ভক্তসঙ্গে ঠাকুর গিরিশের বাহিরের ঘরে প্রবেশ করিলেন। গিরিশ অনেকগুলি ভক্তকে নিমন্ত্রণ করিয়াছিলেন। তাঁহারা অনেকেই সমবেত হইয়াছেন। ঠাকুর আসিয়াছেন শনিয়া সকলে দণ্ডায়মান হইয়া রহিলেন। ঠাকুর সহাস্যবদনে আসন গ্রহণ করিলেন। ভক্তেরাও সকলে বসিলেন। গিরিশ, মহিমাচরণ, রাম, ভবনাথ ইত্যাদি অনেক ভক্ত বসিয়াছিলেন। এ ছাড়া ঠাকুরের সঙ্গে অনেকে আসিলেন, বাবরাম, যোগীন, দই নরেন্দ্র, চুনি, বলরাম ইত্যাদি। শ্রীরামকৃষ্ণ (মহিমাচরণের প্রতি)-গিরিশ ঘোষকে বললাম, তোমার নাম করে, একজন লোক আছে—গভীর, তোমার এক হাঁট জল। তা এখন যা বলেছি মিলিয়ে দাও দেখি। তোমরা দুজন বিচার করো, কিন্তু রফা কোরো না। (সকলের হাস্য) । মহিমাচরণ ও গিরিশের বিচার হইতে লাগিল। একটা আরম্ভ হইতে না হইতে রাম বলিলেন “ও সব থাক—কীত্তন হোক।” শ্রীরামকৃষ্ণ (রামের প্রতি)—না, না; এর অনেক মানে আছে। এরা ইংলিশম্যান, এরা কি বলে দেখি। মহিমাচরণের মত—সকলেই শ্রীকৃষ্ণ হতে পারে, সাধন করিতে পারিলেই হইল। গিরিশের মত—শ্ৰীকৃষ্ণ অবতার, মানুষ হাজার সাধন করকে, অবতারের মত হইতে পারবে না। মহিমাচরণ—কি রকম জানেন ? যেমন বেলগাছটা আমগাছ হতে পারে প্রতিবন্ধক পথ থেকে গেলেই হল। যোগের প্রক্রিয়া বারা প্রতিবন্ধক চলে যায়। .