পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

" ᎼᏓᏓr ঐশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত— ৫ম ভাগ [ ১৮৮৫, ফেব্রুয়ারী ২২ ঠাকুর প্রকৃতিস্থ হইয়া আবার বসিলেন। নরেন্দ্র সভা হইতে উঠিয়া গেলেন। কীৰ্ত্তন চলিতেছে। শ্রীরামকৃষ্ণ বাবুরামকে অস্তে আস্তে বলিলেন, ঘরে ক্ষীর আছে নরেন্দ্রকে দিগে যা ! ঠাকুর কি নরেন্দ্রের ভিতর সাক্ষাৎ নারায়ণ দর্শন করিতেছিলেন। কীৰ্ত্তনাস্তে শ্রীরামকৃষ্ণ নিজের ঘরে আসিয়াছেন ও নরেন্দ্রকে আদর করিয়া মিঠাই খাওয়াইতেছেন। গিরীশের বিশ্বাস, যে ঈশ্বর শ্রীরামকৃষ্ণরূপে অবতীর্ণ হইয়াছেন। গিরীশ ( শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি )—আপনার সব কাৰ্য্য শ্রীকৃষ্ণের মত । শ্ৰীকৃষ্ণ যেমন যশোদার কাছে ঢং করতেন । ত্রীরামকৃষ্ণ—হঁ] শ্রীকৃষ্ণ যে অবতার। নরলীলায় ঐক্ৰপ হয় । এদিকে গোবৰ্দ্ধন গিরি ধারণ করেছিলেন, আর নন্দের কাছে দেখাচ্ছেন, পিডে ব’য়ে নিয়ে যেতে কষ্ট হচ্ছে। গিরীশ–বুঝেছি ; আপনাকে এখন বুঝছি ! [ জন্মোৎসবে নববস্ত্র পরিধান, ভক্তগণকর্তৃক সেবা ও সমাধি ] ঠাকুর ছোট খাটটিতে বসিয়া আছেন। বেলা ১১টা হইবে। রাম প্রভৃতি ভক্তেরা ঠাকুরকে নববস্ত্র পরাইবেন । ঠাকুর বলিতেছেন—“ন’ ’ন’ । একজন ইংরাজী পডা লোককে দেখাইয়া বলিতেছেন, উনি কি বলবেন ! ভক্তেরা অনেক জিদ করাতে ঠাকুর বলিলেন—তোমরা বল্‌ছ,পরি।’ ভক্তেরা ঐ ধরেতেই ঠাকুরের অন্নাদি আহারের আয়োজন করিতেছেন। ঠাকুর নরেন্দ্রকে একটু গান গাইতে বলিতেছেন । নরেন্দ্র গাহিতেছেন— নিবিড় আঁধারে মা তোর চমকে অরূপরাশি । তাই যোগী ধ্যান ধরে হয়ে গিরিগুহাবাসী ॥ অনন্ত আঁধার কোলে, মহানিৰ্ব্বাণ হিল্লোলে, চিরশাস্তি পরিমল অবিরল যায় ভাসি ।